আইকোর মামলায় আজ সিবিআই দফতরে শোভন-বৈশাখী। বৃহস্পতিবার আইকোর চিটফান্ড কাণ্ডে ডেকে পাঠানো হল শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আইকোর নামে একটি সংস্থা রাজ্যে চিটফান্ড চালাত বলে অভিযোগ। ওই সংস্থা বাজার থেকে নিয়ম না মেনে ৩ হাজার কোটি টাকা তুলেছিল। গ্রাহকদের চড়া হারে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ২০১৪ সালে সিবিআই এই দুর্নীতি মামলার তদন্ত নিজেদের হাতে নেয়। আইকোর সংস্থার নামে এফআইআর দায়ের করা হয়।
কিছুদিন আগে আইকোর চিটফান্ড-কাণ্ডে তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তলব করেছিল সিবিআই।সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। সোমবার তিনি বিধাননগরে সিবিআই অফিসে যান। আইকোর মামলায় তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। মদন মিত্রর ছেলে স্বরূপ মিত্রকেও ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, জেল হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে চিটফান্ড সংস্থা আইকোরের কর্তা অনুকূল মাইতির। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে। তিনি ওড়িশার ভুবনেশ্বরের ঝারপড়া জেলে বন্দি ছিলেন। রবিবার ভোররাতে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ভুঁইফোঁড় আর্থিক সংস্থা হিসেবে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছিল আইকোর। এবং সেই টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে।
আর ও পড়ুন ব্যারাজের জল ছাড়ার ফলে প্লাবনের আশঙ্কা হাওড়া ও হুগলিতে
২০১৫ সালে প্রথমে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি। তারপর ২০১৭ সালে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হতে হয় তাঁকে। পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর থেকে তাঁর ব্যবসার শুরু। আইকোরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এরাজ্য ছাড়াও ত্রিপুরা, ঝাড়খান্ড, ওডিশা থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা তুলেছিল। সেই ঘটনায় তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা-মন্ত্রীর নাম জড়িয়েছে।
সূত্রের খবর, এই অনুকূলের কাছে পাওয়া তথ্য থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তলব করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সূত্রের এও দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করার জ়ন্য বেশ কয়েকমাস ধরে তথ্য় প্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা করছেন। এবার এই মামলায় ডাক পরে শোভন-বৈশাখীর।তাঁরা সেখানে যান।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার আইকোর চিটফান্ড কাণ্ডে ডেকে পাঠানো হল শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আইকোর নামে একটি সংস্থা রাজ্যে চিটফান্ড চালাত বলে অভিযোগ। ওই সংস্থা বাজার থেকে নিয়ম না মেনে ৩ হাজার কোটি টাকা তুলেছিল। গ্রাহকদের চড়া হারে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ২০১৪ সালে সিবিআই এই দুর্নীতি মামলার তদন্ত নিজেদের হাতে নেয়। আইকোর সংস্থার নামে এফআইআর দায়ের করা হয়।