বোমা বিস্ফোরণে হাত উড়ে যাওয়া নিখোঁজ ছেলে সন্ধানে মা ও স্ত্রী আর্তনাদ। হিঙ্গলগঞ্জ বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে ইতিমধ্যে ৩৬,ঘন্টা অতিক্রম করেছে মূল অভিযুক্ত ইকবাল গাজীকে বসিহাট মহাকুমার আদালত ১০,দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনায় এক জনের প্রাণহানির হলেও ময়নাতদন্তের পর তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু বোমা বিস্ফোরণে বছর,২৫ এর যুবক সুজন গাজী এখনো বেপাত্তা । পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে এখনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু কে এই সুজন? জানা পরিবার সূত্রে জানা যায় সুজনের মা নুরজাহান বিবি ও স্ত্রী ছকিনা বিবি জানান, বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মুকুল গাজীর নিজের ভাগ্নে ।
দীর্ঘদিন শ্রমিকের কাজ করতো, মুকুলের সাম্রাজ্যঃ বাড়ানোর জন্য নিজের ভাগ্নেকে বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত করেছিল। এলাকায় সন্ত্রাস, রাহাজানি, ছিনতাই এমনকি আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মানুষকে ভয় দেখানোর জোর করে জমি দখল করা একাধিক বোমাবাজির সঙ্গে যুক্ত। সুজনকে সামনের সারিতে রেখেছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা দক্ষিণ বাকরা গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের মৃত্যু আতাউল শেখ সঙ্গে সুজন এক সারিতে বসে বোমাবাধছিল। সেই সময় এই বিস্ফোরণ ঘটে যায় সূত্রের খবর সুজনের ডান হাত পুড়ে গেছে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে গোপন ডেরায় তার চিকিৎসা চলছে। তল্লাশি শুরু করেছে জেলা ও রাজ্য পুলিশ ।
আরও পড়ুন – সুজিত বসুর অনুগামীদের রাতের অন্ধকারে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ সব্যসাচী অনুগামীদের বিরুদ্ধে
সুজনের মা ও স্ত্রী চোখের জলে সেই অসহায়তা, হিংস্রতা মুকুলের বিশাল সাম্রাজ্যঃ এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করা। সব টাই মুকুলের বেড়ে ওঠার কাহিনী। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মুকুলের বাবা ইমাম আলী মনেপ্রাণে বামপন্থী আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন এলাকায় দাপুটে সিপিএম নেতা হিসেবে পরিচিত গত 32 বছর আগে আগে দুই জনকে ডাকাত সন্দেহে মেরে দিয়েছিল ইমাম আলী। সব মিলিয়ে অভিযুক্তের দিদি তথা সুজনের মা, ভাইয়ের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী সঙ্গে তুলনা করেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, এলাকাকে নষ্ট করছেন মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন মারধর করছেন। গত কয়েক বছর ধরে। আমার ছেলেকে খুঁজে এনে দিক, তাকে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
শুনেছি বোমা লেগে হাত উরে গেছে, কিন্তু তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। চোখের জলে ভাসিয়ে দিয়ে আর্তনাদ জানিয়েছেন সুজনের মা, পাশাপাশি এই ঘটনার জেরে সুজনের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে গোটা গ্রাম চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। এলাকা একটাই আত্মনাদ অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক একদিকে, অন্যদিকে তার ছেলেকে খুঁজে দেওয়া হোক। প্রশাসনের কাছে একরাশ আত্মনাদ করে জানিয়েছেন সুজনের মা নুরজাহান ও স্ত্রী ছকিনা সুজনের একটি তিন বছরের শিশুকন্যা আছে।