পূর্ব মেদিনীপুর – বৌভাতের দিনই চরম নাটকীয় মোড়। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার পীতপুরে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে পড়লেন এক তরুণী। প্রেমিকের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৪ বছরের সম্পর্কের পর প্রতারণা করে অন্য মেয়েকে বিয়ে করার অভিযোগ তুলে সরব হন তিনি। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, প্রেমিকার সঙ্গে সঞ্জয় মাইতির পরিবারের বচসা থেকে গড়ায় হাতাহাতিতে। অবশেষে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পাঁশকুড়া থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে সঞ্জয় মাইতির (পীতপুর, পাঁশকুড়া) সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের সামাটের বাসিন্দা ওই তরুণীর পরিবারিকভাবে বিয়ের আলোচনা শুরু হয়। মেয়েটি তখন নাবালিকা থাকায় দুই পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় সাবালিকা হলে বিয়ে দেওয়া হবে। এর পর ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক।
তরুণীর অভিযোগ, সঞ্জয় তাঁর সঙ্গে একাধিক জায়গায় ঘুরতে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। কিন্তু বয়স হলে এবং মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দিলে সঞ্জয় নানা অজুহাতে পিছিয়ে যায়। এমনকি মেয়েটি দাসপুর থানায় এবং আদালতের দ্বারস্থ হলেও সঞ্জয় জামিনে মুক্তি পায়।
এদিকে, সঞ্জয় মাইতি অন্য একটি মেয়েকে মন্দিরে বিয়ে করেছেন—এই খবর পেয়েই তরুণী পাঁশকুড়ার পীতপুরে এসে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন। শুরু হয় বচসা ও হাতাহাতি।
ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তরুণীকে থানায় নিয়ে গিয়ে তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। অভিযোগকারিণী জানান, “চার বছর ধরে সম্পর্কের নামে আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ও আমাকে বিয়ে করুক, না হলে আইন মাফিক কঠিন শাস্তি হোক।”
যদিও অভিযুক্ত সঞ্জয়ের পরিবারের কেউ ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি। তাঁদের দাবি, “আমাদের ছেলেকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।”
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ।
