স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে ব্যাঙ্কিংয়ের কাজ করেন ? তাহলে আজই সতর্ক হোন। ব্যাঙ্কের কাজকর্ম সহজে সেরে ফেলতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হাতের অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই ঝামেলা মিটে যায়। এতে সুবিধা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমারজেন্সি রেসপন্স টিম বা সিইআরটি-ইন কিন্তু সতর্ক করছে এক ম্যালওয়ারের ঝুঁকি থেকে। এ এমন এক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন যা মুহূর্তে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে সমস্ত টাকা পয়সা গায়েব করে দিতে পারে। ম্যালওয়্যারটির নাম দ্রিনিক। এটি গোটা দেশের ২৭টি ব্যাঙ্কের (যার মধ্যে আছে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কও) তথ্য হ্যাক করে নিতে পারে।
এই দ্রিনিক অ্যাপটি হ্যাকারদের প্রলোভনে একবার ইনস্টল করলেই সর্বনাশ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আয়কর দপ্তরের প্রতিনিধি সেজে ফোন করে হ্যাকাররা। মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে পাঠানো হচ্ছে এসএমএস, তার মধ্যের লিঙ্ক খুললে একেবারে আয়কর ওয়েবাসাইটের মতোই একটি ভুয়ো সাইট খুলে যায়।
আর ও পড়ুন অপরাধের গুরুত্ব বুঝে হাত পা কেটে নেওয়া হবে, তালিবান আছে তালিবানেই
নামধাম, আধার, প্যান নম্বর সহ আয়কর দপ্তর থেকে টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য ফর্ম ফিল আপ করতে বলা হচ্ছে। জেনে নেওয়া হচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, আইএফএসসি কোড সহ একাধিক গোপনীয় ব্যাঙ্কিং তথ্য। আয়কর দপ্তর থেকে টাকা ফেরত পাওয়ার লোভে অনেকেই সেই ফাঁদে পা দিচ্ছেন। তাতেই সর্বস্বান্ত হওয়ার রাস্তা পাকা হয়ে যাচ্ছে।
এক্ষেত্রে গুগল প্লে স্টোর ছাড়া কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করতে নিষেধ করছে সিইআরটি-ইন। তাতে ঝুঁকি কম। এমনকী গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করার ক্ষেত্রেও অ্যাপটি কত মানুষ ব্যবহার করেছেন, রিভিউ কী রকম তা দেখে নেওয়া উচিত। ফলে নেট ব্যাঙ্কিং করার ক্ষেত্রে অতি সাবধানী থাকুন/ না হলে বিপদে পড়তে পারেন যে কোন ও সময়েই।
উল্লেখ্য, ব্যাঙ্কের কাজকর্ম সহজে সেরে ফেলতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হাতের অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই ঝামেলা মিটে যায়। এতে সুবিধা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমারজেন্সি রেসপন্স টিম বা সিইআরটি-ইন কিন্তু সতর্ক করছে এক ম্যালওয়ারের ঝুঁকি থেকে। এ এমন এক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন যা মুহূর্তে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে সমস্ত টাকা পয়সা গায়েব করে দিতে পারে। ম্যালওয়্যারটির নাম দ্রিনিক। এটি গোটা দেশের ২৭টি ব্যাঙ্কের (যার মধ্যে আছে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কও) তথ্য হ্যাক করে নিতে পারে।