ব্যাটারি চালিত টোটো ও ভ্যানের দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে প্যাডেল চালিত ভ্যান,আক্ষেপ প্রবীণ ভ্যানচালকদের। জেলা জুড়ে প্যাডেল চালিত তথা হাতে টানা ভ্যানচালকদের দুর্বিষহ অবস্থা। ব্যাটারি চালিত ভ্যানের দৌলতে হারিয়ে যেতে চলেছে পুরাতন দিনের ওই ভ্যান। গলা থেকে আক্ষেপ ছড়িয়ে পড়ছে প্রবীণ ভ্যানচালকদের । বর্তমান সময়ে ঝকঝকে ব্যাটারি চালিত ভ্যান গাড়ির রমরমিয়ে চলছে। তার মাঝে কোথাও যেন হারিয়ে গিয়েছে সেই হাতে টানা ভ্যানের কদর যার ফলে কাজ হারিয়েছে অনেক ভ্যান চালকেরা। এখন প্যাডেল টানা ভ্যানের চাহিদা কম থাকার ফলে তাদের আর রাস্তায় নামতে দেখা যায় না।
প্রসঙ্গত অতীতে ফিরে তাকালে দেখা যায় বছরের পর বছর যাতায়াত এবং মাল পরিবহনের জন্য এই হাতে টানা বা প্যাডেল ভ্যানের উপরেই ভরসা করত সাধারণ মানুষ। কিন্তু এখন সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন প্রযুক্তির অগ্রগতিতে ব্যাটারি চালিত টোটো অটোর দাপটে তাদের রোজগার প্রায় শূন্য বলে চলে।
সকাল থেকে স্টান্ড গুলিতে বসে থেকে খালি হাতে ফিরে যেতে হছে ভ্যান চালকদের। এমনই এক ছবি দেখা গেল, মালদা জেলার রতুয়া ১ নং ব্লকের রতুয়া ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের পাশে। জানা যায় জায়গাটিতে ছিল ভ্যানের স্ট্যান্ড। এক সময় প্রায় প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ খানা ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকতো ,সে জায়গায় বর্তমান সময়ে সেখানে মাত্র কয়েকজন ভ্যান চালককের দেখা মিলে। জায়গাটি বর্তমানে টোটো অটো ও ব্যাটারি চালিত ভ্যানে ভরে গেছে।
আরও পড়ুন – আকাশ পরিষ্কার, নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন থেকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে
এখন ভ্যান চালকদের মধ্যে অনেকে পেট চালাবার তাগিদে বদলেছে নিজের পেশা কিন্তু এখনো কিছু ভ্যান চালক টাকার অভাবে বদলাতে পারেনি নিজের সেই পেশা। এ রকম অবস্থায় যারা এখনো এই কাজের সাথে যুক্ত তাদের নুন আনতে পান্তায় ফুরোয় অবস্থা। এ বিষয়ে রতুয়ার এক ভ্যান চালক শেখ শাহাবুদ্দিন জানান, আগে আমার বাবা ভ্যান চালাতেন, বাবা অসুস্থ হওয়ার পর থেকে আমি ভ্যান চালাই।
বেশ কিছুদিন আগে ভালো কামাই ছিল দৈনিক ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা রোজগার হতো ভ্যান চালিয়ে। কিন্তু বর্তমানে টোটো অটো ও ব্যাটারি চালিত ভ্যানের দাপটে আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। দিনে কোন কোনও দিন ৩০ টাকা ৫০ টাকা রোজগার হয়। কোন কোন দিন সারাদিন বসে থাকি তাও এক পয়সা রোজগার হয় না। সরকার যদি আমাদের দিকে না তাকায় তাহলে আমাদেরকে না খেয়ে মরতে হবে।