ভগ্ন বিদ্যালয়ের পাশে এসে দাড়ালো বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা। ১৯৪৮ সালের ২৩শে জানুয়ারি প্রতিষ্ঠাতা পায় গয়েশপুর নেতাজি বিদ্যালয় আজ সেই বিদ্যালয় উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিনত হয়।
গয়েশপুর পৌর এলাকায় পাঁচটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় , দিনের পর দিন অন্য বিদ্যালয় গুলো উন্নতি হলেও সব চেয়ে খারাপ অবস্থায় এই নেতাজি বিদ্যা মন্দির বিদ্যালয়।
দির্ঘ দিন ধরে ভগ্ন দশায় পড়ে রয়েছে নেতাজি বিদ্যামন্দীর ,উপরের ছাদ খসে খসে পড়ছে , বেশ কয়েকটি রুম বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে,দরজা ও জানালা ভাঙ্গা অবস্থায়। বিদ্যালয়ের বেশ কিছু আসবাবপত্র নষ্ট হতে চলেছে। এই অবস্থার মধ্যে চলছে বিদ্যালয় দিনের পর দিন। যখন তখন ঘটতে পারে দুর্ঘটনা এমনি অবস্থায় চলছে গয়েশপুর নেতাজি বিদ্যালয় ।
এই অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা এগিয়ে এসেছে । প্রাক্তনীদের মধ্যে শিবশঙ্কর কর্মকার বলেন বিদ্যালয়ের এরকম অবস্থা দেখে আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছে স্মারকলিপি তুলে ধরি কয়েক মাস আগে। কারন এই বিদ্যালয়ে পড়েছে আমার পিতা ,আমিও এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এবং আমার মেয়েকে এই বিদ্যালয়ে ভর্তি করেছি। তাই বিদ্যালয়ের এমন ভগ্ন দশা মেনে নেওয়া যায় না। সবসময় বিদ্যালয় এরকম দেখে নিজের বেশি খারাপ লাগে।
এই বিদ্যালয়ে হাল ফেড়াতে উদ্যোগি হয়েছে বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা আজ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সহ শিক্ষকদের সঙ্গে দির্ঘ সময় আলোচনা করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌর ভাওয়াল ২০১৯ সালে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেয়ে আসেন । তখন থেকেই তিনি বিদ্যালয়ের এমন ভগ্ন দশা দেখে আসছেন ।
আরও পড়ুন – আকাশ পরিষ্কার, নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন থেকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে
এর আগে যারা ছিলেন তারাও বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে বলেই জানা যায়। তবে এদিন প্রধান শিক্ষক গৌর ভাওয়াল বলেন বিদ্যালয়ের হাল ফেড়াতে এগিয়ে এসেছে প্রাক্তনীরা দির্ঘ সময় আলোচনা হলো তাদের সাথে তারা পাশে থাকবে বলেছে।আমিও চেষ্টা করছি বিদ্যালয়ের হাল ফেড়াতে ইতি মধ্যে অনেক এগিয়ছি ।খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হবে বলেই তিনি আশাবাদী। তবে দির্ঘ দিন ধরে এরকম ভগ্ন দশায় পড়ে রয়েছে একটা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং তার মধ্যে চলতো বিদ্যালয় এতো দিনে নজরে আসলো না প্রশাসনের।
এই বিষয়ে গয়েশপুর পৌরসভার পৌর প্রধান সুকান্ত চ্যাটাজি কার্যত শিকার করে নেন বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থা তিন বলেন আমি এর আগেও দেখেছি নেতাজি বিদ্যালয়ের বেহাল দশা তবে পৌর প্রধান হবার পর নতুন পৌর বোর্ড গঠন হতেই আমি প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাথে কথা বলেছি খুব শীঘ্রই বিদ্যালয়ের হাল ফিরবে প্রশাসনিক পর্যায়ের কাজ অনেক এগিয়ছে খুব তাড়াতাড়ি বিদ্যালয়ে কাজ হবে।
তবে বিদ্যালয়ের হাল ফেড়াতে এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা বার বার এগিয়ে এসেছে এবং আজ প্রধান শিক্ষকের সাথে দির্ঘ সময় আলোচনা করার পর তারা জানায় প্রধান শিক্ষক এবং সহ শিক্ষকরা অনেক এগিয়েছেন বিদ্যালয়ের হাল ফেড়াতে এর সাথে তাদের দিক থেকে সবরকমের সহযোগিতা করবে বলেই জানিয়েছেন প্রাক্তনীরা ।