আজ থেকে ভবানীপুরে জারি হলো ১৪৪ ধারা। আজ মঙ্গলবার সন্ধা সাড়ে ৬ টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ চালানোর কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, সোমবার ছিল ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারের শেষদিন। আর শেষদিনে প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত হতে হন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ একাধিক বিজেপি নেতা। কোনও রকমে কার্যত প্রাণ হাতে বের হন অর্জুন সিং। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূলের দিকে।
আর এই ঘটনার পরেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। এমনকি ভোট স্থগিতেরও দাবি জানান তিনি। আর সবদিক বিচার করে বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে ১৪৪ জারি করল নির্বাচন কমিশন।
সোমবারের ঘটনার পরেই গোটা ভবানীপুর জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকাতে কর্ডন করে দেওয়া হয়েছে। কাউকে ঢুকতে-বের হতে গেলেও পুলিশের কাছে তথ্য দিতে হচ্ছে।
তবে ১৪৪ ধারা জারির হয়ে যাওয়ার পর যে কোনও ধরনের জটলা, আড্ডা এই সমস্ত বিষয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট না হওয়া পর্যন্ত এই পরিস্থিতি জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে।
আর ও পড়ুন বিস্ফোরক রোশন, কি বললেন শ্রাবন্তীর বন্ধুদের নিয়ে?
সোমবার ভবানীপুরে প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত হন দিলীপ ঘোষ। যেভাবে তাঁকে ঘিরে ফেলা হয় তাঁকে তাতে প্রাণসংশয় পর্যন্ত ঘটতে পারত। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ভবানীপুর যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই করছেন সেখানে এই ঘটনাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দিলীপ ঘোষ।
বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত জানান, ৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনের দিন ভবানীপুর কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি করতে হবে। কোনও বিশেষ রাস্তায় নয়, পুরো ভবানীপুরে আমরা ১৪৪ ধারা দাবি করছি। একইসঙ্গে বুথের ভিতরে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার কথাও জানানো হয়। বিজেপির প্রতিনিধি দল এদিন নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দাবি জানায়, কলকাতা পুলিশকে ভবানীপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যাবে না। পরিবর্তে বুথরে ভিতরে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হবে।
সম্প্রতি, বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছে যে, তাঁদের ভবানীপুরের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল কলকাতা পুলিশের সাউথ ডিসিপি শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন। সবদিক ভেবে ভোটের আগে গোটা বিধানসভা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হল কমিশনের তরফে।