কিভের ভয়ঙ্কর দৃশ্য বাড়িতে এসে ভুলতে পারছে না রিপন। ইউক্রেন থেকে হাঙ্গেরি সীমান্ত তারপর দিল্লি হয়ে কলকাতা বসিরহাট মহাকুমার স্বরূপনগরের সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের মমিনপুর বাড়িতে ফিরল আজ রবিবার ভোর রাতে বছর ১৯ দীপন সরদার।
২০২১, সালের ডিসেম্বর মাসে মেডিকেল পড়তে গিয়েছিলে ইউক্রেনের কিবে। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যেই বিভীষিকা ভয়ঙ্কর স্মৃতি আর মেডিকেল পড়া হলো না। বাবা আনারুল সরদার পেশায় কৃষক, জমি বিক্রি করে একমাত্র ছেলের স্বপ্ন পূরণ করতে মেডিকেলে পড়ানোর জন্য ইউক্রেনে পাঠিয়েছিল। রিপন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান।
টিভিতে যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে প্রতিটা মুহূর্তে সর্দার পরিবারের হতাশা আতঙ্ক আর রাতের ঘুম নষ্ট হয়েছিল। যুদ্ধের এগারতম দিনের মধ্যে ছেলেকে কাছে পেয়ে ইতিমধ্যে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন বাবা-মা বন্ধুবান্ধব প্রতিবেশীরা। রিপন জানাচ্ছেন কিভ থেকে হাঙ্গেরি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আটশ কিলোমিটার কখনো বাসে আবার কখনও ট্রেনে, আবার কখনও পায়ে হেঁটে সীমান্তে পৌঁছতে হয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১০, হাজার টাকা নিজের খরচ করতে হয়েছে। কখনো স্টেশনে আবার কখনো সীমান্তে রাত জেগে বসে থাকতে হয়েছে। জল খাবার ঠিকমতো পাওয়া যায়নি।
এখনো বহু ছাত্র-ছাত্রী কিবে আটকে রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ভারত সরকার তাদেরকে দেশে ফেরাক। মিসাইল রকেট হামলা সেনাবাহিনীর দাপাদাপি প্রতিটা ভয়ংকর মুহূর্ত চোখের সামনে দেখতে হয়েছে। ইউক্রেন স্বাভাবিক হলে আবার সে মেডিকেল পড়তে যাবে। রিপনের মা হাজেরা বিবি বলেন, কেন্দ্র সরকার যদি মেডিকেল পড়ানোর জন্য এদেশে ব্যবস্থা করে তাহলে আমরা খুব উপকৃত হব ।পাশাপাশি কেন্দ্র-রাজ্য দুই সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে।
আর ও পড়ুন বন্ধ রয়েছে দু নম্বর জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণের কাজ, কেন? জানুন
বাবা আনারুল সরদার বলেন, আমি জমি বিক্রি করে ছেলেকে মেডিকেল পড়ার জন্য ইউক্রেনে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু এর মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায়, ছেলে কবে বাড়ি ফিরবে তাই দিনরাত এক করে খাওয়া-ঘুম বন্ধ করে তাকিয়ে ছিলাম। রিপন ঘরে ফিরেছে এটাই আমাদের কাছে বড় পাওনা। ও যেটা ভালো বুঝবে সেটা করবে ।ছেলের মেডিকেল পড়া স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা তা আগামী দিন বলবে।
উল্লেখ্য,কিভের ভয়ঙ্কর দৃশ্য বাড়িতে এসে ভুলতে পারছে না রিপন। ইউক্রেন থেকে হাঙ্গেরি সীমান্ত তারপর দিল্লি হয়ে কলকাতা বসিরহাট মহাকুমার স্বরূপনগরের সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের মমিনপুর বাড়িতে ফিরল আজ রবিবার ভোর রাতে বছর ১৯ দীপন সরদার।২০২১, সালের ডিসেম্বর মাসে মেডিকেল পড়তে গিয়েছিলে ইউক্রেনের কিবে। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যেই বিভীষিকা ভয়ঙ্কর স্মৃতি আর মেডিকেল পড়া হলো না। বাবা আনারুল সরদার পেশায় কৃষক, জমি বিক্রি করে একমাত্র ছেলের স্বপ্ন পূরণ করতে মেডিকেলে পড়ানোর জন্য ইউক্রেনে পাঠিয়েছিল। রিপন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান।
টিভিতে যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে প্রতিটা মুহূর্তে সর্দার পরিবারের হতাশা আতঙ্ক আর রাতের ঘুম নষ্ট হয়েছিল। যুদ্ধের এগারতম দিনের মধ্যে ছেলেকে কাছে পেয়ে ইতিমধ্যে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন বাবা-মা বন্ধুবান্ধব প্রতিবেশীরা। রিপন জানাচ্ছেন কিভ থেকে হাঙ্গেরি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আটশ কিলোমিটার কখনো বাসে আবার কখনও ট্রেনে, আবার কখনও পায়ে হেঁটে সীমান্তে পৌঁছতে হয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১০, হাজার টাকা নিজের খরচ করতে হয়েছে। কখনো স্টেশনে আবার কখনো সীমান্তে রাত জেগে বসে থাকতে হয়েছে। জল খাবার ঠিকমতো পাওয়া যায়নি।
এখনো বহু ছাত্র-ছাত্রী কিবে আটকে রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ভারত সরকার তাদেরকে দেশে ফেরাক। মিসাইল রকেট হামলা সেনাবাহিনীর দাপাদাপি প্রতিটা ভয়ংকর মুহূর্ত চোখের সামনে দেখতে হয়েছে। ইউক্রেন স্বাভাবিক হলে আবার সে মেডিকেল পড়তে যাবে। রিপনের মা হাজেরা বিবি বলেন, কেন্দ্র সরকার যদি মেডিকেল পড়ানোর জন্য এদেশে ব্যবস্থা করে তাহলে আমরা খুব উপকৃত হব ।পাশাপাশি কেন্দ্র-রাজ্য দুই সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে।