ভাইরাল – রাতের নিস্তব্ধতা, ফাঁকা মাঠ, আর তার মাঝখানে ভয়-আতঙ্কে জড়সড় হয়ে বসে এক তরুণী— মুখে ধরা সরু কাঠির অপর প্রান্তে ঝুলছে কাঁচা মাংসের টুকরো। সেই মাংস খেতে একে একে ছুটে আসছে হায়নার দল। এমনই শিউরে ওঠা এক দৃশ্যের ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ঘটনাটি পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার হারার শহরে ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। হারার শহরটি হায়নার সঙ্গে মানুষের সহাবস্থানের জন্য বিখ্যাত। তবে ভাইরাল এই ভিডিওতে দৃশ্যমান আতঙ্কের ছবি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও চিন্তিত।
ভিডিওতে দেখা যায়, এক তরুণী মুখে একটি কাঠি ধরে বসে আছেন। ঠিক তাঁর পাশেই রয়েছেন এক বৃদ্ধ, যিনি ওই কাঠির অপর প্রান্তে এক এক করে কাঁচা মাংস রেখে দিচ্ছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই একে একে হাজির হয় ক্ষুধার্ত হায়নার দল, এবং তরুণীর মুখের কাছ থেকে মাংস তুলে নিয়ে যায় তারা।
যদিও হায়নাগুলি কাউকে শারীরিকভাবে আঘাত করেনি, তবু তাদের এতটা কাছে চলে আসায় ভয় পেয়ে কেঁদে ফেলেন তরুণী। তাঁর সেই আতঙ্ক, চোখের জল ও নিস্পন্দ বসে থাকার দৃশ্য অনেককেই আবেগতাড়িত করেছে।
এই ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয় ইনস্টাগ্রামের ‘NWE’ নামক একটি হ্যান্ডল থেকে। আপলোডের পর থেকেই ভিডিওটিতে লক্ষাধিক ভিউ, হাজার হাজার কমেন্ট ও লাইক জমেছে। নেটিজেনদের কেউ কেউ একে সাহসিকতা বলে প্রশংসা করেছেন, কেউ আবার এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কর্মকাণ্ডের সমালোচনাও করেছেন।
ভিডিও নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। অনেকেই মনে করছেন, হায়নাগুলি হয়তো ওই বৃদ্ধের পোষা এবং প্রশিক্ষিত। আবার কেউ কেউ এই ঘটনার পেছনে পর্যটকদের আকর্ষণ করাই উদ্দেশ্য বলেও মন্তব্য করেছেন। এক নেটিজেন লেখেন, “যে দিন আমার আর বাঁচার ইচ্ছে থাকবে না, সে দিন এমন কিছু করব।” অন্য এক জন মন্তব্য করেন, “হারার শহরে এমন হায়না ফিডিং বহু বছর ধরেই প্রচলিত। হায়নারাও এখানকার সংস্কৃতির অংশ।”
এই ভাইরাল ভিডিও যেমন প্রাকৃতিক বিপদের সঙ্গে মানুষের ঘনিষ্ঠ সাহচর্যের এক দৃষ্টান্ত, তেমনই আবার একপেশে দৃষ্টিভঙ্গির বিপরীতে প্রশ্ন তোলে নিরাপত্তা ও সচেতনতা নিয়েও।
