বিনোদন – ফেসবুক জুড়ে আচমকাই চর্চায় অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের গান। কুণাল ঘোষ, দিলীপ ঘোষ এবং শতরূপ ঘোষকে নিয়ে তাঁর করা একটি রাজনৈতিক প্যারোডি রাতারাতি ভাইরাল হয়ে গেছে। স্টেজ শো-এর সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে শেয়ার হচ্ছে। সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে কোণঠাসা হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ইস্যুতে তাঁর নীরবতা—সবকিছু নিয়েই আলোচনায় অনির্বাণ। এমনকি, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও এই ভিডিও নিয়ে নিজস্ব প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ‘হুলি-গান-ইজম’ ঘিরে এখন তুমুল বিতর্ক।
‘হুলি-গান-ইজম’ মূলত অনির্বাণ ভট্টাচার্যের নতুন মিউজিক ব্যান্ড, যেখানে তাঁর সঙ্গে আছেন অভিনেতা দেবরাজ ভট্টাচার্য ও আরও কয়েকজন মিউজিশিয়ান। সদ্য গঠিত এই ব্যান্ডের প্রথম গান ‘আমাদের বকুলতলায় ভিড় জমেছে বসেছে মেলা, দেখতে যাব আমি তুমি’ ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল জনপ্রিয় হয়েছে। ইনস্টাগ্রাম রিল থেকে শুরু করে ইউটিউব পর্যন্ত এই গান এখন সর্বত্র। কিন্তু এবার অনির্বাণের এক রাজনৈতিক প্যারোডিই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
সোমবার ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, শহরের এক গ্রাউন্ডে লাইভ কনসার্টে হাজির ছিলেন হাজারো দর্শক। কালো হ্যাট, লাল আলো লাগানো ড্রেস আর ব্ল্যাক শর্ট স্লিভ জ্যাকেট পরে অনির্বাণ ও তাঁর ব্যান্ডের সদস্যরা মঞ্চে ওঠেন। বকুলতলার গান গেয়েই দর্শকদের মাতিয়ে দেন তাঁরা। তবে এর মধ্যেই হঠাৎ শুরু হয় এক রাজনৈতিক র্যাপ-প্যারোডি, যা মুহূর্তেই আলোচনার ঝড় তোলে।
অনির্বাণের গাওয়া সেই গানে কুণাল ঘোষকে উদ্দেশ্য করে শোনা যায়, “এসব গানবাজনা ছাড়, চল প্রোমোটারি করি, বড় গাড়ি চড়ি। ইলেকশনের মেজাজ বুঝে দলটা বদল করি। এই আমাদের দোষ, গানবাজনা করতে এসে এসব কথা বললে রেগে যাবে কুণাল ঘোষ।” এরপরই দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে গাওয়া হয়, “আরেক ঘোষও আছে। দাদা খুবই রোমান্টিক। ঘোষ দিয়ে যায় চেনা। গয়না দোকান সব তুলে দাও, গোরুর দুধে সোনা।”
এতেই শেষ হয়নি অনির্বাণের প্যারোডি। ব্যান্ডের সহশিল্পী দেবরাজ ভট্টাচার্য এরপর শতরূপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করে গেয়ে ওঠেন, “আরেক ঘোষও আছে, ওই বিপ্লবীদের পার্টি। টিভি চ্যানেল পার্টি অফিস বড্ড হাঁটাহাঁটি। তাই কিনেছে গাড়ি, দামটা বেশি খুব। ফেসবুকেতেই রাজা মোদের দাদা শতরূপ।”
এই রাজনৈতিক র্যাপ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভিডিওটি নিয়ে সাধারণ দর্শক থেকে রাজনৈতিক মহল পর্যন্ত সকলে মতামত দিচ্ছেন। অনির্বাণ ভট্টাচার্যের নতুন ব্যান্ড ‘হুলি-গান-ইজম’ এর জনপ্রিয়তা যেমন বেড়েছে, তেমনই রাজনৈতিক বিতর্কও তুঙ্গে।
