ভাইরাল ‘ডাস্টিং চ্যালেঞ্জ’-এর বলি ১৯ বছরের তরুণী, সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ড নিয়ে উদ্বেগ অভিভাবকদের

ভাইরাল ‘ডাস্টিং চ্যালেঞ্জ’-এর বলি ১৯ বছরের তরুণী, সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ড নিয়ে উদ্বেগ অভিভাবকদের

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram


ভাইরাল – সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তার মোহে প্রাণ গেল ১৯ বছরের রেনা ও’রুর্কের। বিপজ্জনক ‘ডাস্টিং’ বা ‘ক্রোমিং চ্যালেঞ্জ’ অনুসরণ করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এই তরুণীর। ভাইরাল হতে চাওয়ার প্রবণতা এবং ইন্টারনেট-চালিত ঝুঁকিপূর্ণ প্রবণতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে।

জানা গেছে, ‘ডাস্টিং’ বা ‘ক্রোমিং’ হল এক ধরনের বিপজ্জনক ট্রেন্ড, যেখানে গৃহস্থালির রাসায়নিক দ্রব্য—বিশেষ করে কীবোর্ড পরিষ্কারের স্প্রে—নাকে শ্বাস নিয়ে ইনহেল করা হয়। এতে সাময়িক উত্তেজনা বা নেশা অনুভূত হয়, কিন্তু এর মারাত্মক শারীরিক প্রভাব পড়তে পারে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটি হৃদস্পন্দনের অনিয়ম, স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি এমনকি মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।

রেনা ও’রুর্ক এই ট্রেন্ডের অংশ হতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, এক সপ্তাহ কোমায় থাকার পর চিকিৎসকরা তাঁর মস্তিষ্কের মৃত্যু ঘোষণা করেন। শোকস্তব্ধ রুর্ক পরিবার এখন অন্যান্য অভিভাবকদের সতর্ক করতে চাইছেন।

রেনার বাবা অ্যারন ও’রুর্ক বলেন, “সে সবসময় বলত—‘আমি বিখ্যাত হব, বাবা। শুধু দেখো।’ কিন্তু কোনও বাবা-মা চাইবেন না, তাঁদের সন্তান এইভাবে ‘বিখ্যাত’ হোক।” তিনি এই ঘটনার পেছনে সোশ্যাল মিডিয়ার অন্ধ ট্রেন্ড অনুসরণের সংস্কৃতিকে দায়ী করেন।

রেনার মা ডানা অভিযোগ করেন, “এই রাসায়নিক স্প্রে গুলো সহজেই পাওয়া যায়। কোনও পরিচয়পত্র লাগে না। এগুলোর গন্ধ নেই। বাচ্চারা জানে কী খুঁজতে হবে। আর তা হাতের কাছেই পেয়ে যাচ্ছে।” তাঁর মতে, এই পণ্যগুলির অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণে আনাও জরুরি।

রুর্ক পরিবার এখন অন্যান্য পরিবারকে সতর্ক করছে, যাতে আর কোনও কিশোর-কিশোরী এই বিপজ্জনক অনলাইন চ্যালেঞ্জের বলি না হয়। তাঁরা স্কুল, অভিভাবক ও সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন সবাই একসাথে এই ধরনের নীরব কিন্তু প্রাণঘাতী ট্রেন্ড সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top