ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা মোদাচ্ছের হোসেনের চোখ ধাঁধাঁনো অট্টালিকা নিয়ে আলোড়ন তুঙ্গে। ১৫ বছর আগেও চিত্র টা এত জাঁকজমকপূর্ণ ছিল না। তেলের ব্যবসা করতেন সেই ব্যাক্তি।কিন্তু গত ১৫ বছর ধরে তিনি প্রধান উপপ্রধানের পদে ছিলেন। বর্তমানে ভোগালি ২ পঞ্চায়েতের প্রধানের পদ তার।কিন্তু তার মধ্যে তার অবস্থার হয়েছে বিশাল পার্থক্য।
এত কম সময়ে সুবিশাল অট্টালিকা আবার “লাভ ” চিহ্ন দেওয়া বাড়ি গড়ে তুলেছেন তৃণমূল নেতা মোদাচ্ছের হোসেন।কিন্তু কি করে ? প্রশ্ন বিরোধীদের।। যদিও ভাঙড়ের এই নেতার কথায়, “এই সবই আসলে লোনের সম্পত্তি।” কিন্তু সূত্রের খবর,এদের বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা।
সূত্রের খব ম্রে জানা গেছে,তৃণমূল নেতার নির্দেশেই নাকি হয়েছে রামপুরহাটে অগ্নিসংযোগ কান্ড।এই ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধেই রয়েছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।জানা যায়,রাজনীতিতে আসার আগে কাঠালিয়া বাসস্ট্যান্ডের পাশে একটি ভাড়ার দোকানে তেলের ব্যবসা করে সংসার চালাতেন এই তৃণমূল নেতা। কিন্তু, ২০০৫ সালে এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অহিদুল ইসলাম-আরাবুল ইসলামের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন তিনি । এদিকে, ২০০৬ এভআরাবুল ইসলাম ভাঙড় বিধানসভা থেকে জয়ী হন। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতি বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। ভোগালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন মোদাচ্ছের হোসেন।আর তারপরেই তাঁর ঘরে লক্ষ্মী অচলা হন বলে দাবি বিরোধীদের। ‘রাতারাতি’কোটি কোটি টাকার মালিক তিনি কী করে- প্রশ্ন বিরোধীদের।
আর ও পড়ুন দেশজুড়ে ব্যাংক প্রতারণা মূল পান্ডা গ্রেপ্তার
এই নিয়ে,বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “কত নাম বলব? তৃণমূল নেতা হওয়ার অন্যতম যোগ্যতা কে কত টাকার সম্পত্তি তৈরি করতে পারে। তৃণমূল নেতা হলেই সাত খুন মাফ! সর্বনাশা জায়গায় যাচ্ছে রাজ্য।”এদিকে,নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে মোদাচ্ছের হোসেনের বক্তব্য, “আমার একটাই বাড়ি। বাকিগুলো দোকান। এগুলো লোন নিয়ে তৈরি। আমি ৫৫ বিঘা জমি উপর ভেরি করে মাছ চাষ করি। ১০ বিঘা চাষের জমি রয়েছে।” এখানেই শেষ নয়, এই রাজনৈতিক নেতার কথায়, “আমার বাবার অনেক সম্পত্তি ছিল। আমি ভাগে পেয়েছি। মাইনে থেকে কাজ করিনি। এছাড়াও লোন রয়েছে। আগেও আমি পাকা বাড়িতে বাস করতাম, এখনও করি। “