ভাঙ্গরে আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে ঐতিহাসিক মিছিল

ভাঙ্গরে আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে ঐতিহাসিক মিছিল

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

ভাঙ্গরে আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে ঐতিহাসিক মিছিল। পুজোর আগে শেষ রবিবার তার উপর মহালয়া, আর এই দিন বিকেলে রাস্তা জাম করে তৃণমূল মিটিং, মিছিল করায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সাধারণ ব্যবসায়ীদের। পেট্রোল ডিজেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং আইএসএফের ঘৃণ্য চক্রান্তের বিরুদ্ধে রবিবার বিকেলে শোনপুর বাজার থেকে কাশীপুর বাজার পর্যন্ত এক মহ মিছিল করা হয়। মিছিল শেষে কাশীপুর বাজারে দীর্ঘক্ষণ পথসভা করা হয়।

 

এর ফলে দীর্ঘক্ষণ ভাঙড়-লাউহাটি রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয় পুজোর আগে এভাবে বাজারের মধ্যে রাস্তা জাম করে মিটিং, মিছিল করায় ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। বহু মানুষ পুজোর কেনাকাটা করতে বেরিয়ে মিটিং, মিছিলের জন্য আটকে পড়েন। এদিন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও তাঁর পুত্র হাকিমুল ইসলামের নেতৃত্বে কুড়ি হাজারের বেশি দলীয় কর্মীকে নিয়ে মিছিল করা হয়।

 

এদিন আরাবুল হাকিমুল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবার যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুভাশিষ চক্রবর্তী। দিন কয়েক আগে ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চালতাবেড়িয়ায় এক মহা মিছিল করা হয়েছিল। এদিন তারই পাল্টা মিছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে করা হয় বলে দলের একাংশের অভিমত।

আরও পড়ুন – মহালয়ায় তর্পণে ভিড় ফরাক্কার গান্ধি ঘাটে

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শোনপুর বাজারের এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বলেন, পুজোর আগে শেষ রবিবারে এভাবে রাস্তা জ্যাম করে মিটিং, মিছিল করে তৃণমূল ঠিক করেনি। ওদের বোঝা উচিত ছিল বহু চাকরিজীবী মানুষ যারা ছুটির দিন পূজোর কেনাকাটা করেন। যেভাবে দীর্ঘক্ষণ রাস্তা জ্যাম করে মিটিং, মিছিল করা হয়েছে তাতে যেমন আমাদের ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে, তেমনি বহু সাধারণ মানুষ কেনাকাটা করতে বেরিয়ে আটকে পড়েন।

 

এদিন আরাবুল ইসলাম বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে আইএসএফ ভাবছে ভাঙড়ের মানুষ আমাদের সঙ্গে নেই। আমাদের দলীয় কর্মীদের ভয় দেখাতে তারা বোম, বন্দুক মজুত করছে। পুলিশ ওদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিলে, আমরা চাইলে তাঁদের ঘর থেকে বের হতে দেব না। ঘরে মশারি টাঙিয়ে শুয়ে থাকতে হবে।

 

তৃণমূল নেতা তথা পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতের উপ প্রধান হাকিমুল ইসলাম বলেন,আইএসএফ যে সমস্ত বোম,বন্দুক মজুত করেছে, তা অবিলম্বে খালে ফেলে দিক। তা না হলে আমরা রাজনৈতিকভাবে দলীয় কর্মীদের নিয়ে তার মোকাবিলা করব।
এদিন আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করেন ভোগালী ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মোদাচ্ছের হোসেন। তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল কি আইপিএস অফিসার? ও কি তোলাবাজি করে? ঘুষ খায়।তাহলে কি জন্য তাকে গ্রেফতার করা হল।

 

অনুব্রত বীরভূম জেলার মারকুটে জেলা সভাপতি। সেই কারণে চক্রান্ত করে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী একটা চোর। সারদা,নারদার টাকা নিয়ে এখন বিজেপিতে গিয়ে সাধু হয়ে গিয়েছে। মহম্মদ সেলিম একটা জোকার শুধু মিডিয়ার সামনে দাঁত বের করে হাসছে। তাদের আমলে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করা হয়নি। আমাদের সরকার মানুষের জন্য কি করেছে তা সবাই দেখছে।

 

আরাবুল ইসলামের ডাকা ঐতিহাসিক মহামিছিলে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গড়ের ভোগালী টু অঞ্চলের প্রধান মোদাচ্ছের হোসেন। তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি দল করে বলে সারদার থেকে কোটি কোটি টাকা কেলেঙ্কারি করেছে । ই ডি সি বি আই সেটা চোখে দেখতে পায় না। অনুব্রত মণ্ডলের জেল কাস্টেডি নিয়ে তিনি বলেন অনুব্রত মণ্ডল তিনি কোন আইপিএস অফিসার নয়যে ঘুষ খেয়ে গরু পাচার করত।

 

অনুব্রত মণ্ডল ছিল বীরভূম জেলার একটা মারকুটে সভাপতি তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসি জেল খাটানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি নাম না করে আইএসএফের একমাত্র বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী কে বলেন মাথায় টুপি দিয়ে তিনি ভাবছেন আমি ভাইজান হয়ে গেছি তিনি ফুরফুরা শরীফের ভাইজান নয়, তিনি বলিউডের ভাইজান তিনি সত্য কারের যদি ভাইজান হতো মাথায় টুপি দিয়ে মিথ্যা কথা বলতে পারত না।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top