ভাঙ্গাচোরা রাস্তা নিয়ে চরম অসন্তোষ গ্রামবাসীদের মধ্যে । গ্রামবাসীদের আশা ছিল দীর্ঘ প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা নতুনভাবে তৈরি হলে যাতায়াতের সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু স্থানীয় গ্রামবাসীদের সেই স্বপ্ন এখন বিশবাঁও জলে। শুধুমাত্র ভাঙাচোরা রাস্তায় পাথর ছড়িয়েই দায় সেরেছে একটি ঠিকাদারি সংস্থা বলে অভিযোগ। আরে এনিয়েই চরম অসন্তোষ তৈরি হয়েছে পুরাতন মালদা ব্লকের মহিষবাথান গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার হাজারো বাসিন্দাদের মধ্যে। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে নতুন রাস্তা তৈরি নামে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ফেলে রাখা হয়েছে পাথর। যার ওপর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন কদমতলী , বলরামপুর, সুলতানগঞ্জ সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা ।
কবে এলাকার পাকা রাস্তাটি তৈরি হবে, তার কোনো সদুত্তর গ্রামবাসীদের দিতে পারিনি সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত এবং প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। আর এতেই চরম ক্ষোভ দানা বেঁধেছে মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশকিছু গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে।
স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জের একটি ঠিকাদার সংস্থা মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমদীঘি এলাকার প্রায় তিন কিলোমিটার পাকা রাস্তার কাজের দায়িত্ব পাই। কয়েক মাস আগে সেই রাস্তাতে পাথর বিছিয়ে দায় সেড়েছে ওই ঠিকাদার সংস্থা বলে অভিযোগ। এর ফলে পাথর পেরিয়ে খানাখন্দে ভর্তি রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে অটো, টোটো সহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চালকদের । দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্কুল , কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ।
কদমতলী গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ শারাফউদ্দিন, আজমল শেখ, লিয়াকাত আলিদের বক্তব্য , আমরা ভেবেছিলাম মাটির এই বেহাল রাস্তা এবারে নতুনভাবে তৈরি হবে। এলাকায় পিচের রাস্তা তৈরি হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত হতো। কিন্তু কোথায় কি ! একটা সময় ঠিকাদার সংস্থার কাজ শুরু করে। শুধুমাত্র রাস্তায় পাথর বিছিয়ে চলে গিয়েছে। এই এলাকার রাস্তায় সংস্কারের নূন্যতম কাজটুকু করা হয় নি। যার ফলে প্রতিদিনই আমাদের দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
আর ও পড়ুন কলকাতা চিড়িয়াখানার কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিয়ে ইউনিয়ন তৈরি করা হলো
মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তত ১০ থেকে ১২ টি গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। পুরাতন মালদা শহর ব্লক অফিসে যাওয়ার ক্ষেত্রেই গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র এই রাস্তাটি ভরসা। কিন্তু অর্ধ সমাপ্ত কাজের ফলে এই রাস্তায় এখন সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু লাভ কিছু হয় নি । আমরা চাই দ্রুত রাস্তা তৈরির কাজ সম্পন্ন করুক প্রশাসন।
মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সরাফত আলি জানিয়েছেন, ওই এলাকার রাস্তায় চলাচলের অসুবিধার কথা শুনেছি । কিন্তু হঠাৎ করে কেন ঠিকাদার সংস্থাটি কাজ বন্ধ রেখেছে এব্যাপারে কিছুই জানা নেই। যে ঠিকাদার সংস্থা কাজ করছিল তাদের সাথে কথা বলা হবে। দ্রুত যাতে রাস্তার সমাধান হয়, সেব্যাপারেও ওই ঠিকাদার সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে জানানো হবে। প্রয়োজনে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা হবে।