ভাঙড়ে চা চক্রে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ

ভাঙড়ে চা চক্রে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নিজস্ব সংবাদদাতা,দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ১৬ ই জানুয়ারী : নিউটাউন ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণ সেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের যোধভীম এলাকায় আজ চা চক্রে এসেছিলেন সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আজ দিল্লিতে এনপিআর বা জনগণনা নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। রাজ্যর পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, সরকার যদি ফেলেও দেওয়াও হয় তাও আমাদের রাজ্য যাবে না। এই পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, সরকার তো আগেও ফেলা হয়নি। ফেলার দরকার নেই। সরকার এমনিই পড়বে। মমতা ব্যানার্জি তো কোনদিনই দিল্লির কোন মিটিংয়ে যান না। উনি নিজে সিএম হিসাবে যান না। ওনার ফাইন্যান্স মিনিস্টারকে পাঠান না। ডিএমরা যান না। চিপ সেক্রেটারিরা যান না। যত রকম ভাবে অসহযোগিতা করার উনি করেছেন। কিন্তু কেন্দ্র সরকারের যা দায়িত্ব টাকাপয়সা সহযোগিতা করছেন। উনি সরকার ফেলে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছেন। আপনার সরকার চলবে না বেশি দিন। এসব করে উন্নয়নে বাধা দেওয়াটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে। এর জন্য সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলার মানুষেরা। এনপিআর হচ্ছে কিছু তথ্য সংগ্রহ করা। কোনও সিটিজেনশিপ না, কোনও ডকুমেন্টস সংগ্রহ না। সরকার যে যোজনা তৈরি করে, প্লানিং করে, প্রকল্প তৈরি করে, তাতে জনসংখ্যা মানুষের আর্থিক স্থিতি, লেখাপড়া, কে-কোথায় থাকে, স্ত্রী পুরুষের সংখ্যা এসব জানার পরে সেই প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। এলডমেন্ট করা হয়। তাতে তথ্য জোগাড় করতে যদি বাধা দেয় পশ্চিমবঙ্গ তাহলে পশ্চিমবঙ্গের তথ্য যাবে না। পশ্চিমবঙ্গের লোকেরাই বঞ্চিত হবে কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে। কত মেয়েরা স্কুলে পড়ে তাদের যদি সাইকেল দিতে হয় তাহলে তাদের সংখ্যা চাই। কোন বয়সের আছে, কোন জাতির, কোন আর্থিক অবস্থায় আছে, এই তথ্য নিচ্ছে। তাতে দোষের কি আছে? মমতা ব্যানার্জি এখন পাগলের মত করছে। সবকিছুর বিরোধিতা করতে গিয়ে বাংলার সর্বনাশ করছে।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচন আজ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন- আমাদের আজ নির্বাচন আছে সভাপতির। আমাদের কর্মীরা নির্বাচন করবেন যাদের অধিকার আছে। বিজেপি একটি পার্টি যাদের একটি পারিবারিক সংগঠন সবাইকে নিয়ে সবার সম্মতিতে আমরা এগিয়ে চলি। এভাবেই এগোচ্ছে। কোনও কোনও বিষয়ে কোনও কোনও ব্যক্তির দ্বিমত থাকতে পারে। গণতন্ত্র আছে পার্টির মধ্যে। আমরা একমাত্র পার্টি যারা গণতন্ত্র মানি। আর সংবিধান অনুযায়ী প্রতি ৩ বছর অন্তর নির্বাচন হয় সেইভাবেই পার্টি চলে। সেখানে অনেক সময় অনেক বিষয়ে দ্বিমত থাকতে পারে, থাকেও। আর যদি কোন দ্বিমত থাকে সেটা কথাবার্তা বলে আমরা মেটাই। কিন্তু কাজ করার সময় আমরা একসঙ্গে কাজ করি।

দিল্লির পর বিশ্বভারতীতে এবিভিপির ছাত্র-ছাত্রী সমর্থকরা বিরোধীদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ,,,,,,, এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন আমার জানা নেই এবিভিপির এত ক্ষমতা আছে পশ্চিমবঙ্গে। যে পশ্চিমবাংলার কোনও ইউনিভার্সিটি তে ঢুকে মারবে। বিশ্বভারতী বা এখানে যে কোন ইউনিভার্সিটিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে টিএমসির গুন্ডারা। তারা প্রফেসরদের পিটিয়েছে একসময় ওখানে। সেদিন স্বপন দাশগুপ্ত কে ঘিরে রেখে ছিল। যত রকম ভাবে অব্যবস্থা তৈরি করার তৈরি করছে। যদি কেউ আইন হাতে নেয় তার বিচার করা উচিত। পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top