টালা পার্কের এই বছরের ভাবনা ‘নির্বাধ। ২০২০ সালের প্রথম দিন থেকেই সারাবিশ্ব করণা মহামারীর কবলে চলে যায় জারি হয় লকডাউন এর জেরে সামরিক জীবন বিপন্ন হওয়া যায় ২০২০ দুর্গা পুজো পালন কারা হয় সরকারি করা বাধা-নিষেধ-এর সাথে, কিন্তু প্রতিবছরের মতো সেবারে উন্মাদনা না থাকলেও ঠেকিয়ে রাখা যায়নি বাঙালির আবেগ কে।
২০২১ এবছর দুর্গাপূজাতে জারি থাকবে করোনার বিধি-নিষেধ এর মধ্য দিয়েই পালিত হবে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এদিকে পঞ্চমীর সকাল থেকেই পথে নেমেছে মহানগর। বোধনের আগেই পুরোদমে পুজো মুডে বাঙালি। সন্ধ্যা বাড়লে, পাল্লা দিয়ে বাড়বে মানুষের আনাগোনা। তাই প্রস্তুত পুলিশ-প্রশাসন এবং পুজো কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা।
আর ও পড়ুন সীমান্ত থেকে চীন সেনা না সরালে ভারতও সেনা সরাবে না, হুঁশিয়ারি দিলেন সেনা প্রধানভাবনা
অপরদিকে, উৎসবের উপহার রাজ্য পরিবহণ দফতরের। আজ থেকেই কলকাতা থেকে চালু হচ্ছে নাইট সার্ভিস বাস। পঞ্চমী থেকে শুরু হয়ে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত মিলবে এই পরিষেবা। পুজোর ক’দিনই এই পরিষেবা চালু থাকায় বাসে ঘুরে ঠাকুর দেখার ক্ষেত্রেও মিলবে ভরপুর সুবিধা। করোনা পরিস্থিতির জেরে রাতের এই বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে পুজো উপলক্ষে আপাতত লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত ফের চালু রাতের বাস সার্ভিস।
গত কয়েক বছর ধরেই সৃজনশীল ভাবনা রূপায়ন করে শারদ সম্মানে ভূষিত হয়ে চলেছে টালা পার্ক প্রত্যয়। এই বছর তাদের ভাবনা ‘নির্বাধ।‘ অর্থাৎ বাঁধ ভেঙে দাও মা। শিল্পী সুশান্ত পালের তত্ত্বাবধানে এই ভাবনা প্রসঙ্গে পুজো কমিটির এক সদস্য বলেছেন, ‘গত দুই বছর আমরা নানাভাবে বেঁধে রয়েছি। শিশুরা ঘরে বাধা রয়েছে। স্কুল যেতে পারছে না, খেলাধুলো করতে পারছে না।
আমরা বড়রা বাড়িতে বেধে রয়েছি। অফিসও করতে হচ্ছে বাড়ি থেকে। এই বাধাকে খুলে দিতেই মায়ের কাছে প্রার্থনা। নির্বাধ রূপে আমার নিয়ে আসছি।‘ উত্তর কলকাতার এই পুজো ৯৬তম বর্ষে থিমের আতিশয্যে দর্শক টানলেও, হাইকোর্টের রায় মাথায় রাখতেই হচ্ছে। সেই প্রসঙ্গে পুজো কমিটির বক্তব্য, ‘কোর্টের রায় মেনেই আমরা মণ্ডপ বেঁধেছি। এক সময়ে সর্বাধিক ২০-২৫ জনকে আমরা ঢুকতে দিচ্ছি। বাইরে থেকে দেখেই তাঁরা ফিরে যাচ্ছেন। থাকছে করোনা বিধি মেনেই ব্যবস্থাও।‘