ভারতীয় বৈদেশিক মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ চীনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা শাওমি ইন্ডিয়ার

ভারতীয় বৈদেশিক মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ চীনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা শাওমি ইন্ডিয়ার

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

ভারতীয় বৈদেশিক মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ চীনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা শাওমি ইন্ডিয়ার। ভারত চীন সম্পর্কের তিক্ততার আর এক উদাহরণ প্রস্ফুটিত হয়ে উঠল।শনিবার এক বিবৃতি জারি করে ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এর তরফে জানানো হল যে,ভারতীয় বৈদেশিক মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে চীনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা শাওমি ইন্ডিয়ার (Xiaomi) ৫,৫৫১.২৭ কোটি টাকা মূল্যের তহবিল বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি।

 

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের লাদাখের গালওয়ান ভ্যালিতে চীন ও ভারতের সংঘর্ষের পরই দুই দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।তার নির্দশন হিসেবে ইলেক্ট্রনিক পণ্যে চীনের প্রভাব কমানোর জন্য মোদী সরকার
একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

আর ও পড়ুন    দিনের পর দিন শ্মশানে দাহ হচ্ছে, অথচ নজরদারি নেই প্রশাসনের

এছাড়াও,ভারতে চীনের নজরদারি রুখতে কেন্দ্র নিষিদ্ধ করে শতাধিক চীনা অ্যাপ।অন্যদিকে,জানা যাচ্ছে
২০১৪ সাল থাকে চীনা সংস্থা শাওমি গ্রূপ মালিকাধীন M/s শাওমি টেকনোলজি ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামে ভারতে ব্যবসা করছে এই সংস্থাটি।২০২২ এর ফেব্রুয়ারী মাসেই এই সংস্থার বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থপ্রেরণের অভিযোগ ওঠে। তদন্ত শুরু করে ইডি। তদন্তে জানা যায় , রয়্যালটির নামে তিন বিদেশী সংস্থাকে শাওমি ইন্ডিয়া টাকা পাঠাত যার মধ্যে একটি ছিল খোদ শাওমি গ্রূপ।আর সেই টাকার পরিমাণ ছিল মোট ৫,৫৫১ কোটি টাকা।

 

বিষয়টি নিয়ে ইডি জানায়, “রয়্যালটির নামে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ তাদের মালিক চীনা গ্রূপের নির্দেশে পাঠানো হচ্ছিল। তিনটি সংস্থার মধ্যে একটি চীনের শাওমি গ্রূপ এবং অন্য দুটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর দুটি সংস্থা। শাওমি ইন্ডিয়া সাধারণত ভারতীয় প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে মোবাইল এবং অন্যান্য পণ্যগুলি সংগ্রহ করে। যাদের তারা টাকা পাঠিয়েছে তাদের থেকে কোনও পরিষেবা নেয়নি তারা। এমনকি টাকা পাঠানোর সময় ব্যাঙ্কগুলিকে বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহ করেছে এই সংস্থা। ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৯৯ এর ভিত্তিতে তাদের এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top