ভারতের গ্লাস ব্রিজ: স্থাপত্য, পর্যটন ও রোমাঞ্চের মেলবন্ধন

ভারতের গ্লাস ব্রিজ: স্থাপত্য, পর্যটন ও রোমাঞ্চের মেলবন্ধন

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram


দেশ – ভারত বরাবরই তার প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, ঐতিহাসিক স্থাপত্য এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য বিশ্বপর্যটকদের নজর কেড়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা দুর্গ, মন্দির, পাহাড়ি উপত্যকা, সমুদ্রসৈকত এবং আধুনিক স্থাপত্য নিদর্শন এক অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

বর্তমানে, ভারতের পর্যটনে একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে – গ্লাস ব্রিজ বা কাঁচের তৈরি সেতু। এগুলো এমন একধরনের আধুনিক স্থাপত্যিক সৃজন, যা প্রকৃতি ও রোমাঞ্চপ্রিয়তাকে একত্রিত করে। বিদেশি গ্লাস ব্রিজের কথা বললেই চীনের ঝাংজিয়াজি সেতুর কথা মনে পড়ে, তবে এখন ভারতের বুকেই গড়ে উঠেছে চারটি অত্যাধুনিক গ্লাস ব্রিজ, যা অভ্যন্তরীণ পর্যটনে এক নতুন গতি এনেছে।

এই সেতুগুলো সাধারণত উঁচু পাহাড়, গভীর খাদ বা নদীর ওপর নির্মিত। কাঠামো হিসেবে এগুলো স্বচ্ছ কাঁচ দিয়ে তৈরি হওয়ায় নিচের প্রকৃতি বা গিরিখাত পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়, যা পর্যটকদের মধ্যে রোমাঞ্চ জাগায়। প্রাথমিক ভীতির মধ্যেও এটি এক ধরনের মানসিক সাহসিকতা ও চ্যালেঞ্জের অনুভব তৈরি করে।

উত্তরপ্রদেশের রাজদার গ্লাস ব্রিজ, সিকিমের বাকথাং জলপ্রপাত সংলগ্ন কাঁচের সেতু, মেঘালয়ের পাহাড়ে ঝুলন্ত গ্লাস ব্রিজ এবং কেরলের ওয়াইনডিং রোড সংলগ্ন গ্লাস ব্রিজ – এই চারটি স্থানে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটেছে।

প্রতিটি সেতু শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং এটি স্থানীয় অর্থনীতিকে সচল করে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগও বৃদ্ধি করে। পর্যটন ক্ষেত্রে সরকারের সক্রিয় ভূমিকাও এই উদ্যোগগুলোর সাফল্যে সহায়ক হয়েছে।

সুতরাং গ্লাস ব্রিজগুলোর মাধ্যমে ভারত আধুনিক স্থাপত্য এবং পর্যটনের মেলবন্ধনে এক নতুন অধ্যায় লিখছে, যা আন্তর্জাতিক পর্যটনের পাশাপাশি দেশীয় পর্যটনকেও পুনর্জীবিত করছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top