১৫ ডিসেম্বর, লোকসভার পরে রাজ্যসভাতেও পাশ হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। এই বিল পাশের পরেই বিরোধিতা করে মুখ খুলেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।তিনি বলেন এই বিল ‘ভারতে সংখ্যালঘুদের বিরোধী’ দের। অন্যদিকে নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত উত্তর-পূর্ব ভারতে সফর নিয়ে সতর্কতা জারি করল আমেরিকা, ব্রিটেন, ইজ়রায়েল, কানাডা, সিঙ্গাপুর-সহ বেশ কিছু দেশ। বিক্ষোভের মূল কেন্দ্র অসমে ইতিমধ্যেই সাময়িক ভাবে সরকারি সফর স্থগিত রেখেছে আমেরিকা। সেই সঙ্গে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা।
কাশ্মীর ও অসমের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত-মার্কিন মুসলিম কাউন্সিলও।এদিকে বিল পাশ হওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কে নিশানা করে ইমরান খান একটি টুইটে লেখেন, ‘ধীরে ধীরে বিজেপি হিন্দুত্ববাদী অ্যাজেন্ডার দিকে এগোচ্ছে নরেন্দ্র মোদী’। এরপরই একটি সাংবাদিক বৈঠকে এর পাল্টা জবাব দিয়ে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক রভিশ কুমার বলেন, ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলিয়ে নিজের দেখার দিকে নজর রাখুন’।
একটি সাংবাদিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি এই বিষয়ে পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। নয়াদিল্লির ওই সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি মন্তব্যের উত্তর দিতেই হবে এমন কোনও কথা নেই। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলিয়ে উনি বরং নিজের দেশের দিকে নজর দিন।’
মার্কিন সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘‘নাগরিকত্ব আইন ঘিরে উত্তর-পূর্ব ভারতে যে প্রতিবাদ ও হিংসার খবর পাওয়া যাচ্ছে তার ভিত্তিতে আমেরিকার নাগরিকদের সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হচ্ছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে বেশ কিছু জায়গায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবাও বন্ধ। পরিবহণ ব্যবস্থাও ব্যাহত হচ্ছে।’’ নয়াদিল্লির মার্কিন দূতাবাসের তরফেও সতর্ক করা হয়েছে মার্কিন নাগরিকদের।