দেশ – ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বর্তমানে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মুখোমুখি। আমেরিকা ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন বেড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কূটনৈতিক পদক্ষেপের ফলে হোয়াইট হাউসে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমেরিকার বাণিজ্য নীতির জবাবে ভারত তাদের অবস্থান দৃঢ় রেখেছে। পাশাপাশি, ইউক্রেন যুদ্ধের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে ভারতের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখার কারণে ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক আরও জটিল হয়েছে।
প্রভাবশালী মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম সম্প্রতি ভারতকে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, ইউক্রেন সংকট সমাধানে ভারত যেন তাদের প্রভাব কাজে লাগায় এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সাহায্য করে। তিনি উল্লেখ করেছেন, এর ফলে ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেতে পারে।
সেই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন এবং ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তা অপরিশোধিত তেল কেনার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। আমেরিকার উদ্বেগ এর পেছনে রয়েছে যে, যদি ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে, তাহলে রাশিয়ার অর্থনীতিতে চাপ পড়বে। এজন্য আমেরিকা ভারতের মধ্যস্থতা চাচ্ছে।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভারত আমেরিকার শুল্ক আরোপের জবাবে প্রতিরক্ষা চুক্তি পর্যালোচনা এবং রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি ও কৌশলগত সহযোগিতা বজায় রাখার মতো পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মাধ্যমে ভারত স্পষ্ট করেছে যে, তারা কোনো আন্তর্জাতিক চাপের কাছে মাথা নত করবে না।
