ভালোবাসার টানে মুর্শিদাবাদের যুবককে বিয়ে করতে এলেন রুশ যুবতী। প্রেম ভালোবাসা মানে না কোনও দেশের কাঁটাতার, মানে না কোন বাঁধা বা গণ্ডি। তাদের সামনে থাকে না দেশ বা কালের কোনও বাঁধন। গল্পের বইতে সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে রাজপুত্র যায় রাজকন্যার কাছে। কিন্তু এবার বাস্তবেও। ভালোবাসার টানে এবার সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে রাজকন্যা এলেন রাজপুত্রের ঘর আলো করে। সুদূর রাশিয়া থেকে রাজকন্যা আলেকজান্দ্রা ইভানোভা পাড়ি দিলেন মুর্শিদাবাদের কান্দিতে।
গাঁটছড়া বাঁধলেন কান্দির ছাতিনাকান্দির তাঁতিপাড়ার সহস্রাংশু সিংহের সঙ্গে। লাল টুকটুকে বেনারসি পরে সমস্ত হিন্দু রীতিনীতি মেনে বৃহস্পতিবার চার হাত এক হল বাঙালি যুবক এবং রুশ যুবতীর। সাইবেরিয়ান রেলওয়েতে ইকোনমিষ্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন আলেকজান্দ্রা । চাকরি থেকে পদত্যাগ করে প্রেমের টানে এসেছেন সহস্রাংশু সিংহের কাছে। বর্তমানে ভিনরাজ্যে একটি বেসরকারি সংস্থার কর্নধার সহস্রাংশু সিংহ। ২০১৬ সালে অক্সফোর্ডে পড়াশোনার সময়ে আলেকজান্দ্রার সঙ্গে পরিচয় হয় সহস্রাংশুর। সেখান থেকে প্রেম।
তারপর সুদূর রাশিয়া থেকে মুর্শিদাবাদে এসে ভালবাসার মানুষকে বিয়ে করলেন রুশ যুবতী। লাল চেলি, বেনারসি, সোনার গয়না আর কপালে চন্দনের কলকা। সব মিলিয়ে ফর্সা টুকটুকে মেম বউকে দেখার জন্য নিমন্ত্রিতদের মধ্যে উৎসাহ কিছু কম ছিল না।
আরও পড়ুন – কুলিকের ছবিতে সাজবে রায়গঞ্জ রেলস্টেশন
নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করতে উপস্থিত ছিলেন আলেকজান্দ্রার মা মারিনা অ্যানোথিনা। মালাবদল, শুভদৃষ্টি, কন্যা সম্প্রদান থেকে শুরু করে সিঁদুর দান সবকিছুই হয়েছে বাঙালি রীতি মেনে। এমনকি বিয়ের জন্য বৃহস্পতিবার সারাদিন উপবাস করেছিলেন কনে আলেকজান্দ্রা। আলেকজান্দ্রা জানান, ‘ভারতীয় সংস্কৃতি ও রীতিনীতি মেনে বিয়ে করতে পেরে আমি খুবই খুশি। আমি মন থেকে সমস্ত আচার আয়োজন পালন করেছি।’