মালদা – ভুতনিতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। গঙ্গা ও ফুলহারের জলস্তর কমতে শুরু করেছে, ফলে দক্ষিণ চণ্ডিপুরের কিছু এলাকায় জমে থাকা জল সরে গিয়ে রাস্তা-ঘাটে চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে উত্তর চণ্ডিপুরের পুলিনটোলা, শিবরামটোলা, গিরিটোলা এবং তাজপুরে এখনো এক বুক জল দাঁড়িয়ে আছে। অনেকেই ঘরের ছাদে আশ্রয় নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ, খাবার কিংবা পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। বাধ্য হয়ে তারা বন্যার জল সংগ্রহ করে উনুনে ফুটিয়ে পান করছেন। শিবরামটোলার বৃদ্ধা ডলি মণ্ডল জানালেন, এক মাস ধরে তারা জলবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। ঘরে মজুত শুকনো খাবার খেয়ে দিন কাটছে, কিন্তু প্রশাসনের সাহায্য এখনো পর্যন্ত মেলেনি।
একই ছবি তাজপুর ও গিরিটোলাতেও। চারিদিক জলমগ্ন থাকায় যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা, কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই ব্যবস্থাও নেই। ফলে গ্রামবাসীদের বেশি ভাড়া দিয়ে নৌকা ভাড়া নিতে হচ্ছে। পশ্চিম রতনপুরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাঁধ ভাঙার পরেও জল ঢোকা রুখতে প্রশাসন কোনও স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়নি।
তাজপুরের বিকাশ মণ্ডল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “প্রশাসন থেকেও সাহায্য নেই, সরকারও মুখ ফিরিয়েছে। টাকার বরাদ্দ হয়, কিন্তু সব লুট হয়। বিগত দুই বছর ধরে আমরা বন্যায় বিপর্যস্ত, অথচ কোনও স্থায়ী সমাধান নেই।” গ্রামবাসীদের দাবি, আশার আলো ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে, কারণ তাদের অভিযোগ ও দুর্দশার প্রতি কেউই কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
