করোনার ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার এক । ওষুধের দোকানের আড়ালে অবৈধ ভাবে করোনার রিপোর্ট তৈরি করত এক ওষুধের দোকান ব্যবসায়ী। ভুয়ো করোনা রিপোর্ট তৈরি করার অভিযোগে গোপন সুত্রে খবর পেয়ে ওই ওষুধের দোকানের ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করল নিউ জলপাইগুড়ি থানার সাদা পোশাকের পুলিশ। ধৃতকে বুধবার জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়। এই জাল চক্রের পেছনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, , ওষুধের দোকানের আড়ালে অবৈধভাবে তৈরি করা হত করোনার ভুয়ো রিপোর্ট। একাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নামে এই ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করত ওই ব্যবসায়ী। ঘটনা টের পেতেই গত সোমবার নিউ জলপাইগুড়ি থানায় ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক বাবাই বোস।
তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে মঙ্গলবার রাতে ফুলবাড়ি এলাকায় ওই ব্যবসায়ীর দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম দীপঙ্কর সরকার, বয়স আনুমানিক ২৬ বছর। সে ফুলবাড়ির পূর্ব ধনতলা এলাকার বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, পর্যটকদের ভুয়ো কোভিড রিপোর্ট বানিয়ে দিত বাংলাদেশে যাওয়ার জন্যে। শুধু তাই নয় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দির্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন প্যাথোলজির নামে ভুয়ো কোভিড রিপোর্ট তৈরি করে ভারত থেকে বাংলাদেশ যাওয়ার ছারপত্র তৈরি করিয়ে দিত ফুলবাড়ির ডি কে মেডিকেল স্টোরের মালিক দীপঙ্কর সরকার।
আর ও পড়ুন কাজ করলে পুরস্কার পাবেন, পুর কর্তাদের উদ্দেশ্যে বললেন মমতা
অভিযোগকারী জানান, এক ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট দেখে আমার সন্দেহ হয় যে রিপোর্টটি ভুয়ো। এরপরই আমি দেরি না করে তৎক্ষণাৎ নিউ জলপাইগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। বেশ কয়েক মাস আগেও শিলিগুড়িতে এমনই করোনার রিপোর্ট তৈরি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল দুজনকে। তবে ফের আরও একবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায় আতঙ্কে রয়েছে শহরবাসী। এই ধরনের জাল চক্র আর শিলিগুড়ি শহরে ছড়িয়ে রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।