শিলিগুড়িতে ভূয়ো পুলিশ মামলায় গ্রেফতার চক্রের দুই।রবিবার ৪ সদস্যের একটি দল গিয়েছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে,সেখান থেকে মঙ্গলবার দুই অভিযুক্তকে নিয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধাননগর থানার পুলিশ।নকল পোশাক-ভুয়ো প্যারেড,পুলিশের চাকরির নাম করে অন্য জেলার ১৯জনকে নিয়ে এসে প্রতারণার অভিযোগ।
গ্রেফতার দুই জন । তদন্তে নেমে পুলিশ ২২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জেরার মুখে পুলিশ জানতে পারে,পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে ভিন জেলা থেকে নিয়ে এসে তাদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছিল। এরা প্রত্যেকেই বালুরঘাটের বাসিন্দা।জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ এও জানতে পারে,ধৃত ২২জনের মধ্যে ৩জন মূল অভিযুক্ত। এরপর ওই তিনজনকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সমস্ত তথ্য সামনে আসতে শুরু করে পুলিশের।
আরও পড়ুন – ম্যানগ্রোভ রক্ষা করতে সুন্দরবনের নদীর পাড়ে জালের বেড়া
পাশাপাশি এই ভুয়ো নেটওয়ার্কের সাথে আর কারা জড়িত রয়েছে এবং চক্রের চাবিকাঠি কোথা থেকে নাড়ানো হচ্ছে, সবটাই জানতে পারেন।এরপরই প্রধাননগর থানার পুলিশ চার জনের একটি বিশেষ দল গঠন করে রবিবার বালুরঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।সেখানে বালুরঘাট পুলিশের সহযোগিতায় এই চক্রের মূল আরও দুই জনকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার শিলিগুড়ি নিয়ে আসে।
জানা গেছে ধৃতদের নাম বিপ্লব মালি এবং অলোক দাস। অভিযোগ,অভিযুক্তরা বালুরঘাটের ১৯ জন যুবক-যুবতীকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কারও থেকে ১৫ হাজার,কারও থেকে ৫০ হাজার,আবার কারও থেকে ১লক্ষ টাকা নিয়েছে।এই ধরনের ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা শহরে।জানা গিয়েছে,ধৃত বিপ্লব এবং অলোকের কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি পেয়েছে তদন্তকারী কর্তারা।ধৃত বিপ্লব ও অলোকের পুলিশি রিমান্ডের দাবি জানিয়ে আজ শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পেশ করে। ভূয়ো পুলিশ