ভোটদানের প্রথম প্রহর থেকেই তৃনমূলের জয়ের হাওয়া

ভোটদানের প্রথম প্রহর থেকেই তৃনমূলের জয়ের হাওয়া

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
নতুন

ভোটদানের প্রথম প্রহর থেকেই তৃনমূলের জয়ের হাওয়া. দিনের প্রথম দফায় ফুরফুরে মেজাজে শান্তিপূর্ন ভোট শিলিগুড়িতে। বিচ্ছিন্নভাবে গুরু শিষ্যের অশান্তির ছক বাঞ্চাল করে গৌতমের শান্তি প্রতিষ্ঠার মন্ত্রে অনড় তৃণমূল। ভোটদানের প্রথম প্রহর থেকেই তৃনমূলের জয়ের হাওয়া। শনিবার শিলিগুড়ির আনন্দময়ী কালীবাড়িতে পুজো করে ভোট পর্ব শুরু করেন রাজ্যের প্রাক্তণ মন্ত্রী তথা প্রার্থী গৌতম দেব। নিজ নির্বাচনী ক্ষেত্র ১৭নাম্বার ওয়ার্ডের কলেজপাড়ার বুথে সকাল ৮টা নাগাদ ভোট দান করেন তিনি। সেখানেই তিনি জানান এটা গণতন্ত্রের সর্ববৃহৎ উৎসব। শিলিগুড়িতে আমরাই প্রথম শান্তিপূর্ন ভোটের পরম্পরা তৈরী করেছি।

 

১৯৯৪ এর বাম আমলে নির্বাচনের আগের দিনে খুন হয় উদয় চক্রবর্তী। সেই রক্তাক্ত ইতিহাস আজো ভুলিনি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসার পর থেকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে সে নৈতিকতার শিক্ষাই আমাদের দেন নেত্রী। বিরোধীরা কোনো অশান্তির চেষ্টা করলে পুলিশ ও আইন ব্যবস্থা নেবে। মাথা নিচু করে মানুষকে ভোট দানের আবেদন করেছি, আমরা চাই সকল মানুষ গণতন্ত্রের সর্ববৃহৎ উৎসবে অংশ নিয়ে নিজ অধিকার প্রয়োগ করুন। স্থানীয় পুর প্রশাসন গড়ার প্রক্রিয়ায় আপনারাই মূল চালিকাশক্তি। অন্যদিকে নিজ বাড়িতে পূজা অর্চনা করে নির্বাচনী ক্ষেত্র ১৫নাম্বার ওয়ার্ডে নামেন তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী রঞ্জন সরকার।

 

ভোটের দিনে এলাকাবাসীর সঙ্গে উৎসবের আমেজ জমজমাট আড্ডায় সময় কাটান তিনি। তাকে ঘিরে এলাকাবাসীর সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে যায়। তিনি বলেন শহরের ১৮,১৯ ও২০নাম্বার ওয়ার্ডে গিয়ে ভোট পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। তিনি বলেন সব জায়গায় শান্তিপূর্ন ভোটদান প্রক্রিয়া চলছে। জাকিয়ে ঠান্ডা থাকায় সকালের দিকে এবারে ভোটের হার কিছুটা কম ছিল। তবে দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভোটদানের লম্বা লাইন পড়তে শুরু করেছে। তিনি বলেন ১৫নাম্বার ওয়ার্ড সহ শিলিগুড়িতে থ্রি ইসটু ওয়ান লড়াই হচ্ছে। সমস্ত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়ছে তৃনমূল।

 

আরও পড়ুন-  রণবীরের সঙ্গে অনেকদিন আগেই বিয়ে সেরে ফেলেছেন আলিয়া, নিজেই করলেন স্বীকারোক্তি

 

এদিকে বিক্ষিপ্ত ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টিতে দলীয় কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধিতে টনিক হয়ে ওঠে দার্জিলিং জেলা তৃনমূল সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষের প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে বুথ ঘুরে ঘুরে ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। কোনো রকম বিরোধী রাজনৈতিক দলের অশান্তি উস্কানি থেকে সংযত থাকার বার্তা দেন তিনি। সকাল থেকে প্রায় ৪৫%ভোট পড়েছে বলেই নির্বাচন কমিশনের তরফে জানা গিয়েছে।

 

অন্যদিকে বিক্ষিপ্তভাবে গুরু-শিষ্য প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য ও শীর্ষ বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ নিজ নিজ নির্বাচনী ক্ষেত্রে অশান্তির ছক কষে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করে মানুষকে ভোট বিমুখ করার চেষ্টা করেন। নিজ বুথে দাঁড়িয়ে ভোটারদের প্ররোচিত করার চেষ্টা করেন বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। পুলিশ তাকে সরিয়ে দিতে গিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে লেগে পড়েন।

 

তবে শক্ত হাতে পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে পুলিশ কর্মীরা। একইভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত ধরে ছয় নাম্বার ওয়ার্ডের ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের ৮৮নাম্বার বুথ উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেন। তৃনমুল প্রার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলে হাওয়া গরম করার চেষ্টা করেন। সেখানকার তৃনমূল প্রার্থী মহম্মদ আলম বলেন মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সকাল থেকেই ভোটদানের সামিল হয়েছেন। মানুষ কিভাবে রায় দিচ্ছেন তাতে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত তা বুঝতে পেরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে ভোট ছত্রভঙ্গ করতে চাইছেন তিনি।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top