বিধানসভায় ফের ভোট কেলেঙ্কারি

বিধানসভায় ফের ভোট কেলেঙ্কারি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

বিধানসভায় ফের ভোট কেলেঙ্কারি শুভেন্দু অধিকারী কে বোতাম টিপলো? মিহির গোস্বামী ভোট পড়ে গেলো কি করে? ফলস ভোট, রিগিং হয়েছে তদন্ত করতে হবে? দাবি অরূপ বিশ্বাসের। ভোটকে কেন্দ্র করে ফের নজির বিহীন ঘটনা বিধানসভায়। এর আগেও বিধানসভায় ভোটকে কেন্দ্র করে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছিল। কম ভোট পায় বিজেপি।

 

তদন্ত করে দেখা যায় বিধানসভার এক সিনিয়র কর্মী ভুল করে বিজেপির কিছু ভোট tmc র কোটায় গুনে ফেলেন। অধ্যক্ষ দোষ মেনে নেন। এদিন অবশ্য গতবার ঘটনাকেও চাপিয়ে যায়। ওয়েস্ট বেঙ্গল কৃষি সংশোধনী বিল পাসের সময় ভোট ভুটি দাবি করে বিজেপি। গত বারের ঘটনার ফলে এবার প্রথম থেকেই সতর্ক ছিলেন স্পিকার। তিনি বলেন , ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন এবং স্লিপ দুটো পদ্ধতিতে ই ভোট হবে। ইলে্ট্রনিক ভোটিং মেশিন হলো প্রত্যেক বিধায়ক টেবিলে একটা করে মেশিন রাখা থাকে। অধ্যক্ষ নির্দেশ দেবার পর নিজের আসনে বসে বিধায়করা ভোট দেন। মেশিনে তিনটি বোতাম থাকে।

আরও পড়ুন – সহকারি তন্তু পাট দিয়ে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরির এক বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির

পক্ষে, বিপক্ষে এবং বিরত থাকা। ভোটের পর দেখা যায় মোট ভোট পড়েছে, মোট ১৭৫ টা। তার মধ্যে সরকার পক্ষে ১২০. বিজেপি ৫২। ২ জন অনুপস্থিত এবং একজন ভোট দেননি। ফলাফল দেখে বিজেপি দাবি করে তারা ৫৩ জন উপস্থিত আছেন। কি করে ৫২ টা ভোট পেলো। স্পিকার ভোটিং রেজাল্ট এর বিস্তারিত চেয়ে পাঠান। এই লিস্টে কে কোথায় ভোট দিয়েছেন সেটা বিস্তারিত ভেবে থাকে। এরপর স্পিকার বিজেপি সদস্যের নাম ধরে ধরে ডাকেন। তখন ই দেখা যায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং মিহির গোস্বামী র ভোট পড়েছে। কিন্তু এই দুজনই বিধানসভায় অনুপস্থিত। ব্যস, শুরু হয়ে যায় হই চই। Tmc বেঞ্চ থেকে বিধায়করা চিৎকার করতে থাকেন, ফলস ভোট দিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, ওই আসনের দিকেই তারা যাননি। তুমুল হৈ হট্টগোলের মধ্যে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস রীগিং হয়েছে কি না খতিয়ে দেখতে তদন্তের দাবি করেন। শেষ পর্যন্ত স্পিকার বলেন, কোথাও হতো একটা ভুল হয়েছে। স্লিপে যে ভোট হয়েছে সেটাই চূড়ান্ত বলে বিবেচনা করা হবে।

 

সেখানে দেখা যায়, tmc পেয়েছে ১১৯ টি। বিজেপি ৫৩ টি। একজন ভোট দেননি। Tmc র দুজন বিধায়ক ইলেকট্রিনিক ভোট মেশিনে ভোট দিতে পারেননি। তবে বিষয়টা এখানেই শেষ না, বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, ইচ্ছাকৃত ভাবে বিরোধী দলনেতা অপদস্ত করার জন্য এই কাজ tmc করেছে। বিধানসভার ভোটও ঠিক এই ভাবে মেশিনের কারচুপি করে জিতেছিল tmc। বাইট আগ্নিমিত্র পাল পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top