ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো মেদিনীপুর শহরের একই পরিবারের তিন জনের। বাবা , মা , মেয়ের মৃত্যু হলেও আশঙ্কা জনক অবস্থায় এক বেসরকারি নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন রয়েছে এক শিশু কন্যা।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় মুষড়ে পড়েছেন ওই পরিবারের আত্মীয়রা ।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ ছয় নম্বর জাতীয় সড়কের ওপরে ডেবরা টোলপ্লাজার কাছে খড়গপুর গ্রামীণ থানার হরিণার কাছে ।
মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দ নগরের বাসিন্দা পেশায় কলকাতার এক নামি বেসরকারি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার সমিত সামন্ত (৪০) । তিনিই তাঁর হুন্ডাই আই টেন গাড়ি চালাচ্ছিলেন । চালকের পাশের আসনে বসেছিলেন স্ত্রী বর্ণালী সামন্ত (৩৫) । পেছনের আসনে বসেছিল বড় মেয়ে সিঞ্জিনী সামন্ত ( ১১ ) ও ছোটো মেয়ে সাম্মি সামন্ত (৭) ।
টোল প্লাজা পেরিয়ে গাড়ি স্পিড বাড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল।
এসময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পিক আপ ভ্যানকে সজোরে ধাক্কা মারে গাড়িটি। হঠাৎ বিকট শব্দে ছুটে আসেন স্থানীয় ধাবার লোকজন। তারা ঘটনাস্থলে এসে দেখেন আই টেন গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে গেছে। পিক আপ ভ্যানটিরও ক্ষতি হয়েছে।
তাঁরা রক্তাক্ত অবস্থায় টেনে বের করে আনেন গাড়িতে থাকা সকলকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে খড়গপুর গ্রামীণ থানার পুলিস। অন্য গাড়িতে করে তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আর ও পড়ুন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের প্রাণের ইছামতীর পাড়ে নববর্ষ পালন
ছোটো মেয়ে সাম্মির আঘাত গুরুতর। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে মেদিনীপুর শহরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।
এদিকে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে আসেন তৃণমূলের মেদিনীপুরের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা সহ অন্যান্য নেতারা। কান্নায় ভেঙে পড়া পরিজনদের স্বান্তনা দেন ও পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এদিকে শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ সবং হাসপাতালের দুই মেডিক্যাল অফিসার সহ ৬ জন স্বাস্থ্য কর্মীকে নিয়ে হাসপাতালের বোলেরো গাড়ি দশগ্রাম স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ফেরার সময় চাঁদকুড়ি বেলকিমোড়ের কাছে ডেবরা- পটাশপুর গামী একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গাড়িতে থাকা সকলেই গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের সকলকে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
সবং এর বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন । জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবনচন্দ্র হাঁসদাকে ফোন করে প্রয়োজনে আহতদের এসএসকেএম এর ট্রমা কেয়ার সেন্টারে পাঠানোর জন্য জানান।