‘মঙ্গল’-এর প্রাক্তন বাসিন্দা, দাবি রাশিয়ার এই বালকের

‘মঙ্গল’-এর প্রাক্তন বাসিন্দা, দাবি রাশিয়ার এই বালকের

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

১৪ ডিসেম্বর, সোনারকেল্লার মুকুলের গল্প প্রায় অনেকেই শুনেছেন।এ আরেক মুকুলের গল্প, প্রকৃত নাম বরিস কিপ্রিয়ানোভিচ।
তবে এ গল্প পৃথিবীর নয় মঙ্গলগ্রহের।মাত্র ৭ বছর বয়েসে রাশিয়ার এই বালক সকলকে শুনিয়েছিল তার মঙ্গলের প্রাক্তন জীবনের কথা।এমনকি সে এখনও বিশ্বাস করেন তা।১৯৯৬ সালে রাশিয়ায় জন্ম নেয় ‘বরিস’ ছোট থেকেই ‘সুপার কিড’। অন্যান্য শিশুদের থেকে অনেক দ্রুত তার বিকাশ হয়। মাত্র ১৫ দিনে সে দাঁড়াতে সক্ষম হয়।খুব অল্প সময়ে মধ্যে সে কথা বলতে পারে। দুই বছর বয়সে, রীতিমত খাতা বই নিয়ে পড়তে পারত ও সাথে আঁকতে।যা দেখে আশ্চর্য হয়েছিল বরিসের মা নাদিয়ার, যিনি নিজে একজন ডাক্তার।

পরিবারের কোথায়, তাকে কেউ মঙ্গলের সম্পর্কে কিছুই বলেনি তবু মঙ্গলের সঙ্গে ওতোপ্রোতো ভাবে যুক্ত ছিল সে।সেই ছোট বয়স থেকেই সে নিজেকে মঙ্গল গ্রহের প্রাক্তন ‘বাসিন্দা’ বলে জানাতে থাকে।সাত বছর বয়েসে এক ক্যাম্পফায়ারের সময় সবাই শোনে এই আশ্চর্য কাহিনি। বরিস বর্ণনা করে তার ‘মঙ্গল’ জীবন। আর সেটাই রেকর্ড করেন সেখানে উপস্থিত এক অধ্যাপক। বিশ্ব জানতে পারে রাশিয়ার ‘বিস্ময় বালক’-এর কথা।

মঙ্গলে একসময় জীবন ছিল কিনা, সেই সম্পর্কে গবেষণা এখনও চলছে।ছোট্ট বরিস সেখানে মঙ্গলের ‘অধিবাসীদের’ সঙ্গে মিশরের স্ফিংসের সম্পর্ক নিয়ে যে কথা বলে, শুনে সকলেই বেশ অবাক হয়।তার কথায় মঙ্গল গ্রহে একটি নিউক্লিয়ার যুদ্ধ হয়, আর তাতেই সেখানকার সমস্ত প্রকৃতি-পরিবেশ চিরতরে ধ্বংস হয়ে যায়। এখন বোরিসের বয়স ২২ বছর।এখনও সে একই কথা বলে।বরিস কোনো কল্প-ধারণায় ডুবে আচ্ছন্ন, তা অনেকেই মনে করেন। বা এমনও হতে পারে, শিরোনামে উঠে আসার জন্যই এমন আজগুবি গল্প বলে সে। যাই হোক, তার এই ‘অসম্ভব’ দাবি যে বিশ্বে সাড়া ফেলেছিল ভালোমতোই, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

 

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top