মধ্যপ্রদেশে পুলিশি নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু, গ্রেপ্তারির দাবি উথ্থিত

মধ্যপ্রদেশে পুলিশি নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু, গ্রেপ্তারির দাবি উথ্থিত

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram



দিল্লি – বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে ভোপালের ইন্দ্রপুরী এলাকায় পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায় মৃত্যু হল এক ইঞ্জিনিয়ারের। মৃত যুবকের নাম উদিত গায়াকি। অভিযোগ, পার্টিতে ঢুকে পুলিশের দুই কনস্টেবল ১০ হাজার টাকা দাবি করেন এবং দিতে অস্বীকার করায় উদিতকে বিবস্ত্র করে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদিতকে বন্ধুরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে AIIMS-এ স্থানান্তর করা হয়, কিন্তু সেখানে চিকিৎসার সময় মৃত্যু হয়।

সূত্রের খবর, উদিত সম্প্রতি একটি সংস্থায় চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি শেষ করার পর ভোপালে ফিরে এসে বন্ধুদের সঙ্গে সেহোরে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে সার্টিফিকেট সংগ্রহের পর পার্টি আয়োজন করেছিলেন। পার্টিতে পুলিশের উপস্থিতি এবং ১০ হাজার টাকা দাবি নিয়ে বচসার সূত্রপাত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, উদিত প্রতিবাদ করায় তাঁর পোশাক ছিড়ে দেওয়া হয় এবং লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়, যা মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে যায়।

ঘটনার পর এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উদিতের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে। মধ্যপ্রদেশ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জিতু পাটওয়ারি বিজেপি সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “দুই পুলিশকর্মী এক যুবককে খুন করেছে, অথচ প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নেনি। পরিবারকে কোনো সান্ত্বনা দেওয়া হয়নি। ভোপালের ঘটনা প্রমাণ করে, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবস্থা তলানিতে পৌঁছেছে।”

পুলিশি তদন্তে অভিযুক্ত কনস্টেবল সন্তোষ বামানিয়া এবং সৌরভ আর্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুই কনস্টেবলকে গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে এবং স্থানীয় মানুষ ও রাজনৈতিক নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top