মধ্যমগ্রামের একটি বহুজাতিক শপিং মল লাগোয়া আবাসনের সামনে তাজা বোমা উদ্ধার। রাত পোয়ালেই বর্ষবরণ উৎসব অনুষ্ঠান জন সমাবেশ ভীড় হৈ হুল্লোর। তার আগেই বর্ষ শেষের শেষ দিনেই সাত সকালে মধ্যমগ্রামের একটি বহুজাতিক শপিং মল লাগোয়া আবাসনের সামনে তাজা বোমা উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়াল। মধ্যমগ্রাম থানার অন্তর্গত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে রাস্তার পাশে মিরা গার্ডেন হাউসিং কমপ্লেক্স এর সামনে শুক্রবার সকালে পথ চলতি স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তার পাশে একটি তাজা বোমা পরে আছে দেখতে পান ।
খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাশেই রয়েছে একটি বহজাতিক সংস্থার শপিং মল। বর্ষ শেষ ও বর্ষ বরণ উৎসব কে ঘিরে সেখানে হাজার হাজার মানুষের আনা গনা চলে । বোমাটি দেখতে ভিড় করেন স্থানীয় মানুষজন।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাজ্য সড়কের পাশে বোমাটি পড়ে ছিল। এইভাবে রাস্তার ধারে বোমা পড়ে থাকায় তারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
এলাকার লোকজন মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশকে খবর দেয় । এর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বোমাটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কে বা কারা ওইখানে বোমাটি কি উদ্দেশ্যে ফেলে রেখে গিয়েছে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। প্রশ্ন উঠছে রাত পোহালেই নতুন বছর উৎসব অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। যে স্থানে বোম টি পাওয়া গিয়েছে তার থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে বিরাট বড় শপিং কমপ্লেক্স চত্বরে নৈশ কালীন কেনো পুলিশী টহল ছিল না। সে ক্ষেত্রে যে কোন বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
আর ও পড়ুন ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ীতে নেমেছে পর্যটকদের ঢল
পুলিশী গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন এলাকার লোকজন। এলাকার লোকের আরও অভিযোগ বোম স্কোয়াড আসার আগেই এক ভ্যান চালক কে রাস্তা থেকে ডেকে ওই বোম টি ব্যাগে ভরে তার ভ্যানে করে পাঠিয়ে দেন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী। কি করে এত অবিবেচকের মতন কাজ করলেন মধ্যমগ্রাম থানার কর্তব্যরত ওই অফিসার তা দেখে রীতিমত চক্ষু চড়ক গাছ এলকার বাসিন্দাদের।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন চিহ্ন থেকেই যাচ্ছে পুলিশের কর্ম নিয়ম ভাঙ্গা এই পুলিশ কর্মীকে নিয়ে। একদিকে যেমন নিজের জীবনকে বিপন্ন করেছেন অন্য দিকে যাদের দিয়ে অবৈজ্ঞানিক পন্থায় জীবন ঝুঁকির মধ্যে যাদের দিয়ে তাজা বোম বইয়ে নিয়ে গেলেন সেটা শিক্ষিত সমাজের কাছে তিরস্কার যোগ্য ও শাস্তি যোগ্য অপরাধ ও বটে।