আজ মধ্যরাতে ল্যান্ডফল করবে গুলাব, আতঙ্কে কাঁপছে অন্ধ্র ও ওডিশা। সময় কিছুটা পিছিয়ে আজ মধ্যরাতে ওড়িশার গোপালপুর ও অন্ধ্রপ্রদেশের কলিঙ্গপত্তনমের কাছে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’। এই ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে সরাসরি প্রভাব না পড়লেও সতর্ক রাজ্যের আবহাওয়াবিদরা। দুর্যোগের আবহে এবার ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল করল নবান্ন।
নবান্ন থেকে জারি করা এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আবহাওয়ার যা পূর্বাভাস রয়েছে এবং বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে সেগুলির পর্যালোচনা করে রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। মঙ্গল ও বুধবার দক্ষিণবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই সময়ে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কা সবথেকে বেশি। দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় ৫০ থেকে ৬০ কিমি বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া।
আর ও পড়ুন ‘চরম সুখ’ পাওয়ার কিছু গোপন টোটকা
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল হবে। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি প্রবল বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। বুধবার পর্যন্ত মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এদিকে দুর্যোগের আশঙ্কায় প্রস্তুত রয়েছে লালবাজার। গতকাল রাত ১২টা থেকেই চালু রয়েছে সর্বক্ষণের কন্ট্রোল রুম। পুলিশের পাশাপাশি সজাগ থাকছে দমকল, কেএমসি।
ইতিমধ্যেই কলকাতাতেও এনডিআরএফ টিম রাখতে বলা হয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি একাধিক জেলাতেও মোতায়েন করা হতে পারে এনডিআরএফ এর বিশেষ দল। বালিগঞ্জ ও মোমিনপুর পাম্পিং স্টেশনে নজর দেওয়া হয়েছে। ২ পাম্পিং স্টেশনে বাড়তি লোকের ব্যবস্থা রাখছে পুরসভা। ভবানীপুর, কালীঘাট, আলিপুর, ওয়াটগঞ্জ, একবালপুর, এই পাঁচটি এলাকায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২২টি দলকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যেই মক ড্রিলের কাজ শুরু করে দিয়েছে এনডিআরএফ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকছে৷ আগামী ৪৮ ঘণ্টা যাতে কেউ সমুদ্রে না যান, তার নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ইতিমধ্যেই নবান্নর পক্ষ থেকে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,ওড়িশার গোপালপুর ও অন্ধ্রপ্রদেশের কলিঙ্গপত্তনমের কাছে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’। এই ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে সরাসরি প্রভাব না পড়লেও সতর্ক রাজ্যের আবহাওয়াবিদরা। দুর্যোগের আবহে এবার ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল করল নবান্ন।
নবান্ন থেকে জারি করা এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আবহাওয়ার যা পূর্বাভাস রয়েছে এবং বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে সেগুলির পর্যালোচনা করে রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। মঙ্গল ও বুধবার দক্ষিণবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই সময়ে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কা সবথেকে বেশি। দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় ৫০ থেকে ৬০ কিমি বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া।