মনিপুর – মনিপুর পুলিশ, ভারতীয় সেনা এবং অসম রাইফেলস-এর যৌথ অভিযানে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক এবং আগ্নেয়াস্ত্র । শুক্রবারই বিষ্ণুপুর, সেনাপতি, থৌবাল, জিরিবাম, চান্দেল, চুরাচাঁদপুর, কাংপোকপি, ইম্ফল পূর্ব এবং ইম্ফল পশ্চিমের পাহাড়ি ও উপত্যকা জেলাগুলিতে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আইইডি, গ্রেনেড, গোলাবারুদ-সহ ১১৪টি অস্ত্র। এছাড়াও মণিপুরের কাংপোকপি জেলায় ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে একাধিক বাঙ্কার।
জানা গিয়েছে, মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার নেপালি বস্তির দক্ষিণ-পশ্চিমে অভিযানের ফলে দু’টি কারবাইন, দু’টি পিস্তল, দু’টি রাইফেল, একটি ইম্প্রোভাইজড মর্টার, গোলাবারুদ-সহ যুদ্ধে ব্যবহৃত মোট সাতটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
একইভাবে, চান্দেল জেলায় তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কমপক্ষে ৫৫টি অস্ত্র। যার মধ্যে রয়েছে বারো বোরের সিঙ্গেল ব্যারেল রাইফেল নয়টি, বারোটি মুজল লোডেড রাইফেল, একটি ১২ মিমি সিঙ্গল বোর শটগান, একটি সিঙ্গল ব্যারেল রাইফেল, ৩২টি ইম্প্রোভাইজড চারটি ইমপ্রোভাইজড মর্টার, গ্রেনেড, গোলাবারুদ এবং একাধিক যুদ্ধের সরঞ্জাম।
অন্যদিকে, সেনাপতি জেলায় দু’টি বোল্ট অ্যাকশন সিঙ্গল ব্যারেল বন্দুক, একটি ডাবল ব্যারেল বন্দুক, একটি বারো ব্যারেল রাইফেল বন্দুক-সহ মোট চারটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। পাশপাশি চুরাচাঁদপুর জেলার কাংভাইয়ের উত্তর পশ্চিমের গোথল এলাকা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আরও ১৫টি অস্ত্র।
জিরিবাম জেলার আনখাসু গ্রাম থেকে নয়টি ইম্প্রোভাইজড মর্টার উদ্ধার করা হয়েছে। তবে হিংসায় অশান্ত মণিপুরে এই ধরনের অভিযান নিরাপত্তা বাহিনীর বড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
চলতি বছরের অক্টোবরের শুরুতে মণিপুরে আরও ছ’মাসের জন্য বর্ধিত হয়েছে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’-এর মেয়াদ। তারপরেই শুরু হয়েছে যৌথবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযান। দক্ষিণ মণিপুরের পার্বত্য জেলা চুড়াচাঁদপুর, থৌবল, পূর্ব ও পশ্চিম ইম্ফল এবং কাংপোকপি জেলায় থেকে এর আগেও জঙ্গিদের অস্ত্রভান্ডারের খোঁজ পেয়েছিল যৌথবাহিনী।
