মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে বিজয় উল্লাস তৃনমূলে। মহকুমা জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে রাস্তার নামলো তৃনমূলের বিজয় যাত্রা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় দুটি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে জয় হাসিল করলো জোড়া ফুল। পাচঁটি গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচনের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ তৃণমূলের। আগামী২৬ শে জুন শিলিগুড়ি মহকুমা নির্বাচন। তবে নির্বাচনের আগেই ৭ই জুন খড়িবাড়ির মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে দুটি পঞ্চায়েত সমিতির আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করে তৃনমূল।
খরিবাড়ির একটি ও ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগরের একটি পঞ্চায়েত সমিতি দখলে নিয়েছে তৃনমূল। গুচ্ছের গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয় বিপক্ষ রাজনৈতিক শিবিরের প্রার্থিরা। বাম ও বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের হিড়িক পড়ে। শিলিগুড়ি মহকুমা চার ব্লকে মোট পঞ্চায়েত সমিতির দশটি আসনে প্রার্থীরা নিজ মনোনয়ন উঠিয়ে নিয়েছে। ব্যক্তিগত সম্মতিপত্র দিয়েই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে প্রার্থীরা বলে জানিয়েছেন ব্লক নির্বাচনী আধিকারিকেরা। দুই ব্লকের পাচঁটি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর তৃণমূলের জয় ঘোষণা করা হয়।
ফলত মহকুমা এলাকাজুড়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বিজয় উল্লাস চোখে পড়ে।শিলিগুড়ি মহকুমার চার ব্লকে মধ্যে বিধানগর একের পঞ্চায়েত সমিতি ও খরিবাড়ি ব্লকের একটি পঞ্চায়েত সমিতি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃনমূলের দখলে আসে। ফাঁসীদেওয়া ব্লকের বিডিও তথা ব্লক নির্বাচনী আধিকারিক জানান বিধাননগর এক পঞ্চায়েত সমিতির আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী নিজ মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে।এরপরই মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় সীমা পেড়িয়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার ঘোষণা করে দেওয়া হয় ওই পঞ্চায়েত সমিতির আসনটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় তৃনমূলের জয়যুক্ত হয়েছে। এদিকে নির্দল সহ গোজ কাঁটা ছিল এই পঞ্চায়েত সময়টিতে। তবে দলীয় শৃঙ্খলাকে ধরে রেখে দলের জয়ের রাস্তা মসৃণ করা সম্ভব হয় ঘাসফুল শিবিরের।
জয়লাভ করেছে তৃনমূল প্রার্থী টুলটুলি সরকার। এখানে বাম ও বিজেপি প্রার্থীই পেশ করতে পারেনি। অন্যদিকে খরিবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির একটি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের পরই তৃনমূলের জয় ঘোষনা করা হয়। ভোট যুদ্ধে নামার আগেই হার বুঝে কাবু হয়ে পড়ে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি ও বামেরা। মনোনয়ন তুলে নেন অন্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। যার ফলে এই আসনটিতে মনোনয়ন প্রত্যাহার শেষে তৃনমূলের জয় ঘোষণা করে দেওয়া হয়।ভোটের আগেই দুই পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়লাভে গোটা মহকুমা জুড়ে হাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে উচ্ছাস। ফলস্বরূপ নির্বাচনের আগেই তৃনমূলের বিজয়ের নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। গ্রামের পর গ্রাম ঘাস ফুল শিবিরের হাওয়ায় মাতচ্ছে। দার্জিলিং তৃনমূলের জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ জানান দিনের প্রথম সূর্যদয় বলে দেয় দিনটা কেমন হবে!
এক্ষেত্রেও দুই পঞ্চায়ের সমিতি ও বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় হয়েছে আমাদের তাতে পরিষ্কার ময়দানে প্রতিপক্ষ কেউ নেই। এটা তো সব শুরু এই এক মাসে তৃনমূলের সমর্থনে সুনামি আসবে। কারন গ্রামের মানুষ একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভরসা করেন
। যারা অন্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারাও মনোনয়ন প্রত্যাহার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিশাল জন কল্যাণ মুখী কর্মযজ্ঞে শরিক হতে চাইছেন। তিনি বলেন তবে তৃনমূল কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
তারা গ্রাম ঘুরে মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যেভাবে জনকল্যাণ মুখী প্রকল্পের কথা তুলে ধরেছে তারই ফল। অন্যদিকে ফাঁসিদেওয়া ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত ৩,৫,১১,১৩ এবং মাটিগাড়া দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে তৃনমূল। ব্লক নির্বাচনী আধিকারিদের কাছ থেকে মেলা তথ্য অনুযায়ী মনোনয়ন প্রত্যাহার পর্ব শেষে মাটিগাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে ১৫ টি ও পঞ্চায়েত সমিতির ৩ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। ফাঁসীদেওয়া ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে ২৫টি এবং পঞ্চায়েত সমিতি আসনের ৫টি মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়েছে। নকশালবাড়িতে গ্রাম পঞ্চায়েত ১৫ ও পঞ্চায়েত সমিতিতে ১টি। খরিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত ছয়টি এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে একটি প্রত্যাহার হয়েছে।