মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক, অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তাদের কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক, অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তাদের কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

রাজ্য – সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্য ঘিরে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তাদের একটি দল এই মন্তব্যকে ‘অবমাননাকর’ আখ্যা দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তারা আদালতের কাছে আবেদন করেছেন, মেয়ো রোডের গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বসে শান্তিপূর্ণ ধর্না দেওয়ার অনুমতি চেয়ে।

সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলার প্রাথমিক শুনানি হয়। আদালত প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানায়, অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তারা যদি শান্তিপূর্ণভাবে ধর্না দেন, তাতে আপত্তির কোনো কারণ নেই। বিচারপতি বলেন, “৩০০-৪০০ জন পর্যন্ত হলে কোনো সমস্যা নেই।” আদালত আরও নির্দেশ দেয়, আন্দোলনের স্থানে যথাযথ গার্ডরেলের ব্যবস্থা করতে হবে নিরাপত্তার স্বার্থে।

রাজ্য সরকারও আদালতে জানায় যে, তাদের এই ধর্না কর্মসূচিতে কোনো আপত্তি নেই। তবে আদালত জানায়, মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে। পরবর্তী শুনানিতে আদালতের রায় স্পষ্ট হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই আন্দোলনকারীরা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি পেয়ে গিয়েছেন।

ঘটনার সূত্রপাত হয় মেয়ো রোডের একটি রাজনৈতিক প্রতিবাদ মঞ্চ ঘিরে। সম্প্রতি ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্থার অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেস মেয়ো রোডে একটি প্রতিবাদ মঞ্চ তৈরি করেছিল। সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য সর্বাধিক দুই দিনের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মঞ্চটি স্থায়ীভাবে থাকার ফলে সেনা কর্তৃপক্ষ সেটি সরিয়ে ফেলার উদ্যোগ নেয়। সেই সময় তৃণমূল কর্মীরা বাধা দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখানেই তিনি সেনার বিরুদ্ধে মন্তব্য করে বলেন, “এটা সেনার কাজ নয়, এর পিছনে বিজেপি ও দিল্লির নির্দেশ রয়েছে।” তিনি আরও দাবি করেন, প্রায় ২০০ সেনাকর্মী তাকে দেখে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। মুখ্যমন্ত্রী আরও স্পষ্ট করেন যে সেনারা রাজনৈতিক চাপে কাজ করছেন, তবে তাদের ব্যক্তিগত কোনো দোষ নেই।

মমতার এই মন্তব্যকেই ‘অবমাননাকর’ হিসেবে চিহ্নিত করে প্রাক্তন সেনাকর্তারা আদালতের শরণাপন্ন হন। এখন সবার নজর মঙ্গলবারের চূড়ান্ত শুনানির দিকে, যেখানে আদালত অনুমতি, আন্দোলন এবং মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য সংক্রান্ত বিতর্কে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করতে পারে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top