মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানালেন প্রিয়াঙ্কা, কেন? সম্মানের লড়াই ভবানীপুর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একচুলও জায়গা ছাড়তে নারাজ বিজেপি। ইতিমধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারি, নদীগ্রামের মতোই অবস্থা হবে। আর সেই হুঁশিয়ারির পরেই একই পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনয়ন বাতিলের দাবি তুললো বিজেপি।
ভবানীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কার দাবি, ভবানীপুর উপনির্বাচনে মনোনয়নে তথ্য গোপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে থাকা একাধিক ফৌজদারি মামলার তথ্য দেননি তৃণমূল প্রার্থী। ফলে কমিশনের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখানো হয়েছে। আর এই অভিযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। এই অভিযোগ ঘিরে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যদিও এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা শোভদেব চট্টোপাধ্যায়।
শোভদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, একটা সর্বভারতীয় দল হওয়া স্বত্বেও তাঁদের কোনও ধারণা নেই। যতক্ষণ না পর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত সেই তথ্য দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই বলে দাবি বর্ষীয়ান নেতার। তবে রাজ্যের মন্ত্রীর এহেন যুক্তি খারিজ করে দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
আর ও পড়ুন লালবাজার সাইবার সেলে গেলেন অগ্নিমিত্রা পল, কেন?
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত বিজেপিকে পিছনে ফেলে লড়াইয়ের ময়দানে মমতা। ইতিমধ্যে কর্মীসভা থেকে শুরু করে জনসংযোগও শুরু করে দিয়েছেন তিনি। দেরিতে হলেও প্রচারে নেমে ঝড় তুলছেন প্রিয়াঙ্কা। ভবানীপুরের প্রত্যেক বাড়িতে ঘুরে ঘুরে প্রচার করছেন। একাধিক বিজেপি সাংসদ রয়েছেন ভবানীপুরে।
তবে প্রচারের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ বিজেপির। প্রিয়াঙ্কার দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনোনয়ন জমা দেওয়াতে তথ্য গোপন করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কতগুলি কেস রয়েছে, সে কথা হলফনামায় উল্লেখ করেননি তিনি। বিজেপি সুত্রের খবর আর সেই প্রশ্ন তুলেই কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।
উল্লেখ্য, একই ভাবে নন্দীগ্রামেও ভোট প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও ঢোপে টেকেনি। ফলে এই ধরনের অভিযোগকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।
অন্যদিকে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বলেই জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জয় নিয়ে তিনি আশাবাদী। তিনি মানুষের জন্য লড়াই করছেন। বিধানসভা নির্বাচনের পরে তৃণমূল খুনের খেলায় নেমেছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ এই সরকার খুনিদের সমর্থন করছে, এরই বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার ডাক দেন তিনি। এমনকি প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল বাংলা বাঁচাও, বাঙালি বাঁচাও স্লোগানকে সামনে রেখে লড়াই করে চলেছেন।