উত্তরবঙ্গের নিউ দোমহনি এবং নিউ ময়নাগুড়ি সেকশনে শুরু হল ট্রেন চলাচল। গত ১৩ জানুয়ারি আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের এই সেকশনের মাঝে লাইনচ্যুত হয়ে যায় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। উদ্ধার এবং অন্যান্য কাজের জন্য এই সেকশনের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এই রুটের ট্রেন ঘুরপথে চালানো হচ্ছিল। রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার ডাউন লাইনে প্রথম যে যাত্রীবাহী ট্রেনটি চলে সেটি হল ডাউন ডিব্রুগর-রাজধানী এক্সপ্রেস।
দুর্ঘটনার পর ওই জায়গা দিয়ে ট্রেনটি এদিন সকাল ১১টা ৫৩ মিনিটে অতিক্রম করে যায়। এর আগে শুক্রবার রাত ২টো ০৫ মিনিটে ওই লাইনটি দিয়ে একটি মালবাহী ট্রেনকে চালানো হয়েছে। এনএফ রেলওয়ের জনসংযোগ আধিকারিক নীলাঞ্জন দেব বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আপ এবং ডাউন দুটি লাইনেই ক্ষতি হয়েছে। ওই দুই সেকশনের মাঝে প্রায় ৬০০ মিটার লাইনে এই ক্ষতির প্রভাব পড়েছে। যদিও আপ লাইনেই বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটির লাইনচ্যুতি হয়েছে।
আর ও পড়ুন পারিবারিক জমি জায়গা নিয়ে সংঘর্ষ, যুবককে কুপিয়ে খুন
কিন্তু আপাতত ডাউন লাইনটি ঠিক করে ওই লাইনটি দিয়েই আপ এবং ডাউন, দুটি পথে ট্রেন চলাচল শুরু করা হয়েছে। লাইনের যে অংশে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল সেই অঞ্চলটির মধ্যে ঘন্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
গত ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় নিউ দোমহনি এবং নিউ ময়নাগুড়ি সেকশনের মাঝে লাইনচ্যুত হয় বিকানের থেকে গুয়াহাটিগামী বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। ইঞ্জিনের পর থেকে ট্রেনটির ১২টি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ঘটনায় ওই ট্রেনে সফররত ৩৬ জন যাত্রী আহত এবং ৯ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। ঘটনার রাতেই হাওড়া থেকে রেলপথে দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। উদ্ধারকাজে রেলের পাশাপাশি রাজ্য সরকারও ঝাঁপিয়ে পড়ে। মৃত এবং আহত যাত্রীদের জন্য রেলের তরফে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়।
ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার সার্কেল, কলকাতা’র কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটিকে। পাশাপাশি ওই ট্রেনের চালকের বিরুদ্ধে এক যাত্রী যেহেতু রেল পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন সেজন্য রেল পুলিশের তরফ থেকেও একটি মামলা দায়ের করে চালকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।