ময়নাগুড়িতে মাশরুম চাষ। এই চাষের মাধ্যমে কয়েক বছরে যথেষ্ট লাভবানও হয়েছেন তিনি । তাই মাশরুম চাষ প্রধান চাষে পরিণত হয়েছে ঝাঝাঙ্গির চাষী সুনিলের । সুনিল বাবু জানান , কৃষিকাজ তার একমাত্র জীবীকা । অন্যান্য চাষের পাশাপাশি বিগত ১০ বছর ধরে তিনি মাশরুম চাষ করছেন । এই চাষে এখনও অবধি তাকে ক্ষতির মুখ দেখতে হয়নি ।
আরও পড়ুন- পশ্চিম বঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আয়োজনে উস্থীতে স্কুলে বিজয়া সম্মিলনী
তাই মাশরুম চাষ এখন তার অন্যান্য চাষের তুলনায় প্রধান চাষে পরিণত হয়েছে । এই মাসিক চাষের মাধ্যমে প্রতিবছর তিনি ৩-৪ লক্ষ টাকা ঘরে তুলেন বলে দাবি সুনিল বাবুর । এ বছরও তিনি চারটি ফার্মে প্রায় কুড়ি হাজার সিলিন্ডার তৈরি করে মাশরুম চাষ করেছেন । প্রতিটি সিলিন্ডার তৈরি করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ টাকা । প্রতিটা সিলিন্ডার থেকে প্রায় এক কেজি মাশরুম উৎপাদন হয় । যার বিক্রয় মূল্য ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত । সুনীল বাবুর মতে মোটা পুঁজি ছাড়াও এই চাষের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকি রয়েছে ।
অনেক সময় খড় পচে গিয়ে ধ্বসা জাতীয় রোগে সিলিন্ডার নষ্ট হয়ে যায় । এছাড়া উৎপাদিত ফসল বিক্রির জন্য কাছাকাছি উপযুক্ত বাজার পাওয়া যায় না । উৎপাদিত মাশরুম বিক্রির জন্য উপযুক্ত বাজার পেতে ময়নাগুড়ি থেকে শতাধিক কিলোমিটার দূরে পাহাড়ি বাজারে যেতে হয় । সুনিল বাবু জানান , সরকারিভাবে মূলধন ও উপযুক্ত বাজারের ব্যবস্থা করা হলে ময়নাগুড়ির চাষিরা মাশরুম চাষ করে যথেষ্ট লাভবান হতে পারবেন । ময়নাগুড়িতে মাশরুম চাষ