দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীদের মারধর। হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মীদের মারধর, অভিযোগ গোয়েন্দা বিভাগের এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে, প্রতিবাদে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবাদে সামিল দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীরা। চিকিৎসা না পেয়ে পাল্টা বিক্ষোভ রুগীদের। উত্তেজনা দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে।
রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা পুলিশ কর্মী দেবাশিষ চক্রবর্তী সাথে হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীদের দু চার কথা হতে হতে হাতাহাতি শুরু হয়।অভিযোগ, মহকুমা হাসপাতালের এক প্যাথলজিস্ট সহ আরো দুই স্বাস্থ্য কর্মীকে ঐ পুলিশ কর্মী মারধর করে। প্রতিবাদে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয় স্বাস্থ্য কর্মীরা। প্রায় তিন ঘন্টা বন্ধ থাকে পরিষেবা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নিউটাউনশীপ থানার পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনার জেরে হাসপাতালে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। যতক্ষণ না পর্যন্ত অভিযুক্ত শাস্তি না পায় ততক্ষন পর্যন্ত তারা পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হবে বলে সাফ জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
এইদিকে এই ঘটনার জেরে হাসপাতালে দেখাতে আসা রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা বিক্ষোভ দেখায় হাসপাতালের আউটডোর বিভাগে, পরিষেবা বন্ধ হয়ে থাকায় দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ধৈয্য হারিয়ে ফেলে, বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের ওষুধ দেওয়ার কাজ। ভোগান্তির মুখে পড়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন,দাবি জানাতে থাকেন অবিলম্বে পরিষেবা শুরু করার।
গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন রয়েছে হাসপাতাল চত্বরে।দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডক্টর ইন্দ্রজিৎ মাজি জানান, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে গোয়েন্দা বিভাগের ঐ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে।
আর ও পড়ুন জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
জানা গেছে, অভিযুক্ত ঐ পুলিশ কর্মী প্রথমে ওষুধ নিতে এসে এক মহিলা স্বাস্থ্য কর্মীর সাথে দুর্ব্যবহার করে এরপর তাকে আগে পরিষেবা দেওয়ার দাবি জানিয়ে হাসপাতালের পাথলোজিস্ট রথীন ব্যানার্জি কাছে এসে বচসায় জড়িয়ে পড়ে, দু এক কথা হতে হতে শুরু হয় গন্ডগোল।
অভিযোগ তখন ঐ পুলিশ কর্মী মারধর করে রথীন বাবুকে, তাকে বাঁচাতে এসে আক্রান্ত হয় আরো এক স্বাস্থ্য কর্মী। এরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই পুলিশ কর্মীও হাসপাতালে ভর্তি হয় অসুস্থতার কারণে ।