মহকুমা সংশোধনাগারের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে প্রশাসনিক কর্তারা। চলতি বর্ষে সংশোধনাগারে কাজ শেষ করতে হবে আগামী বছরেই পরিষেবা চালু হবে মালদহের চাঁচল সংশোধনাগারের। ভবন নির্মাণের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিন্তু মাটির সংকটের মুখে পড়েছেন ভবন নির্মাণের ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা। শনিবার ওই নির্মীয়মান সংশোধনাগার কাজের গতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন মহকুমা শাসক কল্লোল রায়, চাঁচল ১ব্লকের বিডিও সমীরন ভট্টাচার্য চাঁচল থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুন্ডু। সমগ্র সংশোধনাগারের কাজ খতিয়ে দেখার পর ঠিকাদার সংস্থার সাথে কথা বলতে গিয়ে মাটির সংকটের অভিযোগ উঠে আসে। মাটি না পাওয়ার ফলে কাজের গতি এগোচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলছেন ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা। ভূমি সংস্কার দফতরে আধিকারিক ও জেলা শাসককে বলে সমস্যার সমাধানের আস্বাস দেন মহকুমা শাসক কল্লোল রায়।
চাঁচল কদলার মাঠে পাঁচ একর জমির উপর ৩৫০ জন কয়দিদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে সংশোধনাগার। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সংশোধনাগারের ভবন নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে চললেও মাটির সংকটের মুখে পড়েছেন ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা। যার ফলে সংশোধনাগারে মাটি না আসলে কাজ শেষ করা যাবে না। মাঝ পথেই থমকে যাবে কাজ। পাশাপশি সীমানা প্রাচীর নিয়েও কাজে বাঁধা পেতে হচ্ছে কর্মীদের।সংশোধনাগারের পাশে থাকা জমির মালিকেরা সংশোধনাগারের সীমানা প্রাচীরের কাজ করতে দিচ্ছেন না বলেও এদিন প্রশাসনের আধিকারিকদের সামনে অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে চাঁচল মহকুমা শাসক কল্লোল রায় বলেন, সংশোধনাগারের বিভিন্ন কাজ খতিয়ে দেখা হল। কাজ বেশ দ্রুত গতিতে চলছে। ঠিকাদার সংস্থার মাটি নিয়ে সমস্যা রয়েছে জেলা শাসক এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের অধিকারীদের সাথে কথা বলে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে।
পুলিস হাউজিংয়ের সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অর্ঘ্য চক্রবর্তী বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর ৩১ তারিখে কাজ শেষ করার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু মাটির সঙ্কট থাকায় ফলে কাজের গতি কমে যাচ্ছে। ভবনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। দরজা, জানালা লাগানো হয়ে গিয়েছে। রঙের কাজ চলছে। সীমানা প্রাচীরের কাজ কিছুটা হয়েছে কিছু অংশ কাজ বাকি রয়েছে।