মালদার মহদীপুর সীমান্তে দাঁড়িয়ে পণ্যবাহী লরি, বাড়ছে অসন্তোষ। বাংলাদেশ রপ্তানি হওয়ার সময় মালদার মহদীপুরের ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সীমান্তে মাসের-পর-মাস দাঁড়িয়ে থাকতে পণ্যবাহী লরিগুলিকে। এনিয়ে লরি চালক সংগঠন এবং রপ্তানিকারকদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়েছে। বাইরে থেকে আসা পণ্যবাহী লরিগুলি সহজেই মালদার মহদীপুর আন্তর্জাতিক ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে রপ্তানি করতে পারছে না বলে অভিযোগ।
তিনদিনের জায়গায় তিন মাস ধরে মহদীপুর এলাকার জাতীয় সড়ক এবং আন্তর্জাতিক হাইওয়ের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে পণ্যবাহী লরিতে। এর ফলে কিছু কাঁচা মালে পচন ধরছে বলে রপ্তানিকারকদের অভিযোগ। দিনের পর দিন এই সমস্যা বাড়তে থাকায় এখন ক্ষোভ বেড়েছে মালদার মহদীপুর সীমান্ত ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে । অবিলম্বে সমস্যার সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলন এবং পণ্যবাহী লরি বন্ধের হুমকি দিয়েছে ওই সংগঠন । যদিও এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের কর্তারা কোনো মন্তব্য করেন নি ।
ইংরেজবাজার ব্লকের মহদিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে রয়েছে ভারত – বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সীমান্ত । এই সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ পণ্যবাহী লরি সীমান্তের ওপারে যাতায়াত করে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকেই আলু, পিয়াজ সহ নানান ধরনের খাদ্য সামগ্রী এমনকি পাথর সহ আরো অন্যান্য উপকরণ বাংলাদেশের রপ্তানি করা হয়ে থাকে।
আর ও পড়ুন ট্যাবলো পুরস্কার ঘোষণা নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম
কিন্তু পণ্যবাহী লরিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সীমান্ত এলাকায় আসলেও সহজেই ওপারে গাড়ি নিয়ে যেতে পারছে না বলে অভিযোগ লরি চালকদের। মাসের-পর-মাস রাস্তার ধারে অনেক লরিকে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। আর এই নিয়ে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে রপ্তানিকারক থেকে মহদীপুর সীমান্ত ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংগঠনের মধ্যে।
মহদীপুর সীমান্ত ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সঞ্জীব ঘোষ বলেন, বাংলাদেশে রপ্তানি হওয়া পণ্য বোঝাই গাড়ি তিন মাস হয়ে গেলেও খালি হচ্ছে না। এমত অবস্থায় সমস্যায় পড়েছেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মহদীপুর স্থলবন্দরের রপ্তানিকারক এবং গাড়ি মালিকরা। বর্তমানে যে পণ্য বোঝাই গাড়ি গুলি বাংলাদেশ যাচ্ছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সে গাড়ি গুলি খালি করতে হবে।
তাদের এই দাবি ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে বাংলাদেশের পানামা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে। অবিলম্বে বাংলাদেশ রপ্তানি হওয়া পণ্য বোঝাই গাড়িগুলি আগামী সাত দিনের মধ্যে খালি করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে মহদীপুর স্থলবন্দরের রপ্তানিকারক এবং সীমান্ত ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ।