পাকিস্তানে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল মহম্মদ আলি জিন্নার মূর্তি। রবিবার বালোচিস্তানের বন্দরশহর গদরে বিস্ফোরণে ভেঙে যায় জিন্নার বিশাল মূর্তিটি। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বালোচ বিদ্রোহী সংগঠন ‘বালোচ লিবারেশন ফ্রন্ট’।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরই বালোচিস্তানের একটি এলাকায় জিন্নার মূর্তিটি স্থাপন করেছিল প্রশাসন। রবিবার রাতে সেটির নিচে বিস্ফোরক পুঁতে দেয় বালোচ বিদ্রোহীরা। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কার্যত ধুলোয় মিশে যায় জিন্নার মূর্তিটি। বহুদিন ধরেই পাকিস্তানের দখলে থাকা বালোচিস্তানকে স্বাধীন করার চেষ্টা চালাচ্ছে সংগঠনটি। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। বিদ্রোহীদের খোঁজে অভিযান শুরু করেছে পাক সেনা। পাকিস্তানের বুকে জিন্নার মূর্তি ভাঙার ঘটনায় রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে ইসলামাবাদ।
আর ও পড়ুন পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সিধু, কারণ কি ?
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের মাটিতে স্বাধীন বালোচিস্তানের দাবিতে বহুদিন থেকে লড়াই চালাচ্ছে বিদ্রোহী সংগঠন ‘বালোচ লিবারেশন আর্মি’। ২০১৫ সালে মউ স্বাক্ষরের ভিত্তিতে চীন–পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর বা সিপিইসি নির্মাণকার্য শুরু হয়েছে৷ চীনের প্রস্তাবিত ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ নীতির উপর ভিত্তি করে, তাদের অর্থ সাহায্যেই এই করিডর তৈরি হচ্ছে।
পাকিস্তানের গদর পোর্ট থেকে চীনের শিনজিং প্রদেশ পর্যন্ত মোট ২ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথটি তৈরি করা হচ্ছে। আর এই করিডর নিয়ে প্রথম থেকেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছেন বালোচিস্তান–সহ গিলগিট–বালতিস্তান ও পিওকে–র নাগরিকরা।
অভিযোগ, তাঁদের বাসভূমি কেড়ে নিয়ে এই করিডর তৈরি করছে পাকিস্তান। আর তাতে পূর্ণ মদত দিচ্ছে চীন। এই অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই পাক প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাচ্ছেন বালোচ নাগরিকরা।
উল্লেখ্য,পাকিস্তানে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল মহম্মদ আলি জিন্নার মূর্তি। রবিবার বালোচিস্তানের বন্দরশহর গদরে বিস্ফোরণে ভেঙে যায় জিন্নার বিশাল মূর্তিটি। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বালোচ বিদ্রোহী সংগঠন ‘বালোচ লিবারেশন ফ্রন্ট’।জানা গিয়েছে, চলতি বছরই বালোচিস্তানের একটি এলাকায় জিন্নার মূর্তিটি স্থাপন করেছিল প্রশাসন।
গত রবিবার রাতে সেটির নিচে বিস্ফোরক পুঁতে দেয় বালোচ বিদ্রোহীরা। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কার্যত ধুলোয় মিশে যায় জিন্নার মূর্তিটি। বহুদিন ধরেই পাকিস্তানের দখলে থাকা বালোচিস্তানকে স্বাধীন করার চেষ্টা চালাচ্ছে সংগঠনটি।