গ্রাম জুড়ে শোক মিছিল, পরনে সাদা পোশাক, মুখে মুখে হাসান-হোসেনের নামে হাহাকার। তাজিয়া আর লাঠি খেলার নকল যুদ্ধ। প্রতিবছরের মতো এবারও মহরমের চেনা ছবি ধরা পড়লো মালদহের চাঁচল থানার কলিগ্রামে।
মঙ্গলবার সকালে কলিগ্রামে মিছিল করলেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।মিছিলে অলংকার হিসেবে ছিল জাতীয় পতাকা।
কলিগ্রাম মহরম কমিটির ডাকে মিছিলে সামিল হয়েছিলেন নুরগঞ্চ,দেবপুর,রামনগর,বগচড়া ও দুলিয়াবাড়ীর বাসিন্দারা।মিছিলে সামিল হয়েছিলেন চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ,জেলাপরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেন ও সদস্য সামিউল ইসলাম সহ কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেজাউল খাঁন।এদিন
সকাল ১১ টা নাগাদ নুরগঞ্চ থেকে মিছিল শুরু হয়ে চাঁচল–আশাপুর রাজ্য সড়ক ধরে এগিয়ে যায় গ্রামের,প্রানসাগর, নিমতলা, সাতঘরিয়াপাড়া, ইমামবাড়া ও ভিতর চৌড়ঙ্গী মোড় হয়ে সোজা কলিগ্রাম ফুটবল মাঠ যায় মিছিল। মিছিল চলাকালীন গুরুত্বপূর্ণ মোড় গুলিতে চলে লাঠি খেলাও।
মিছিদ শেষে কলিগ্রাম বাজার সড়ক ধরে গ্রামের মজুমদার পাড়া হয়ে সুফি সমাধিস্থল দর্শন করে মিছিল ফিরে যায়।
মিছিল নির্বিঘ্ন করতে অবশ্য পুলিশের তরফে নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল কড়া। মহরম রুটের প্রতিটি মোড়ে মোতায়েন ছিলন পুলিশ ও র্যাফ।প্রায় ৩ ঘণ্টায় ২ কিলোমিটার পথ হেঁটে দুপুর ০২ নাগাদ ইমামবাড়ী মসজিদ প্রাঙ্গণে মহরমের মিছিল শেষ হয়। মিছিল শেষে কলিগ্রাম মহরম কমিটির সেক্রেটারী চিরাগ হোসেন খান জানান, ঐতিহাসিক রীতি মেনে শোক পালন এবং শান্তির বার্তা দিতে এ বার আমরা নিরস্ত্রভাবে মিছিলের জন্য অঞ্চলের কয়েকটি মহরম কমিটিকে আহ্বান জানিয়েছিলাম।গ্রামের মহরম কমিটির পাশাপাশি এলাকার মহরম কমিটির সদস্য-সহ বহু সাধারণ মানুষ মিছিলে সামিল হয়েছিলেন।