গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
মহাত্মা

পালন করা হয় মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী। ভারত-সহ অনেক দেশ তার জন্মবার্ষিকী আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবে পালন করে। তিনি মনে করতেন, “চোখের বদলে চোখ, সারা বিশ্বকে অন্ধ করে দেবে।” জাতির জনক অহিংসাকে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত করার হাতিয়ার হিসেবে প্রচার করেছিলেন। তার অহিংস আন্দোলন লক্ষ লক্ষ হৃদয় জিতেছিল। পৃথিবীতে তার ছাপও ফেলেছে।

 

আজ গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।শনিবার ১৫২ তম গান্ধী জয়ন্তী উদযাপন করছে। প্রধানমন্ত্রীয়া মোদী দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর পাদদেশে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এদিন টুইটারে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “গান্ধী জয়ন্তীতে শ্রদ্ধেয় বাপুকে প্রণাম জানাই। তাঁর মহৎ নীতি বিশ্বব্যাপী প্রাসঙ্গিক এবং আজও লক্ষ লক্ষ মানুষকে শক্তি দেয়।”।

 

পরাধীনতার নিরন্ধ্র অন্ধকারে অসহায় নিপীড়িত মানুষের দুঃসময়ে তিনি নিয়ে এলেন মুক্তির বার্তা । দিশেহারা পথভ্রান্ত মানুষকে দীক্ষিত করলেন নবজীবনের মহামন্ত্রে ,ভারতবর্ষের আপামর জনতাকে তিনি জাতীয়তাবাদের প্রবল উন্মাদনায় মাতিয়ে তুললেন । সেই নবজাগ্রত জাতির হাতে তিনিই তুলে দিলেন ‘অহিংসা’ নামক অমোঘ এক অস্ত্র ।

১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর গুজরাটের পোরবন্দরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে। প্রতি বছর ২ অক্টোবর এই মহান দেশনেতার জীবন ও অবদানকে স্মরণ করতে ও সম্মান জানাতে গান্ধী জয়ন্তীর দিন জাতীয় ছুটি হিসাবে ঘোষিত। দেশজুড়ে চলে নানা অনুষ্ঠান, উদযাপন। সারাজীবন অহিংসা ও সত্যের পথে হাঁটতে শিখিয়েছিলেন গান্ধীজি।

 

তিনি রক্তের বদলে রক্ত চাইলেন না ,আঘাতের প্রত্যুত্তরে প্রত্যাঘাতের কথা কখনো বলেননি ।তাঁর কণ্ঠে ভারতাত্মার শ্বাশ্বত সুরই প্রতিধ্বনিত হয়েছিল । তিনি চেয়েছিলেন মানুষকে আত্মশক্তিতে বলীয়ান করতে, আত্মত্যাগের মহান ব্রতে দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে। তাঁর অহিংসা তাই দুর্বলের মুখোশ নয়; নয় ভীরুর হুঙ্কার।

 

 

আর ও  পড়ুন    আগামীকাল ভোট গণনার আগে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ভবানীপুরকে

 

 

গান্ধীজি ছিলেন সনাতন ভারত ঐতিহ্যের আধুনিক বিগ্রহ যার কাছে অস্পৃশ্যতা ছিল একপ্রকার পাপ । তাঁর মধ্যে মূর্ত হয়ে উঠেছিল সত্য, প্রেম ও অহিংসা । লাঞ্ছিত মানবতার মুক্তিদূত ও স্পর্ধিত রাজশক্তির অনমনীয় প্রতিদ্বন্দ্বী গান্ধীজির ছিল এক বিস্ময়কর সাংগঠনিক প্রতিভা । নবজাগরণের অগ্রদূত মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর কথা তাই দেশবাসী আজ ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে ।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top