মুম্বই – মহারাষ্ট্রের ভিওয়ানি শহরে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড। স্ত্রীকে খুন করে তাঁর দেহ ১৭ টুকরো করে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিয়েছেন স্বামী। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম তাহা, আর নিহত মহিলার নাম পারভিন ওরফে মুসকান, যাঁর বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।
ঘটনার সূত্রপাত ৩০ আগস্ট, যখন স্থানীয় বাসিন্দারা একটি কসাইখানার পাশে এক মহিলার কাটা মুণ্ড দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কাটা মুণ্ড উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক সূত্র ধরে পুলিশ দ্রুত মুসকানের স্বামী তাহার কাছে পৌঁছে যায়। জেরার মুখে তাহা স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করে। তবে খুনের সঠিক উদ্দেশ্য বা কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেননি তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি বারবার নিজের বয়ান পরিবর্তন করছেন, ফলে তদন্ত আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
তাহা জেরায় জানিয়েছেন, খুনের পর স্ত্রীর দেহ ১৭ টুকরো করেন তিনি এবং শহরের বিভিন্ন জায়গায় সেই দেহাংশ ফেলে দেন। পুলিশ ও দমকল বাহিনী ইতিমধ্যেই সেই দেহাংশ খুঁজে বের করতে অভিযান শুরু করেছে।
অন্যদিকে, মুসকানের মা হানিফা খান দু’দিন ধরে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেছিলেন। কাটা মুণ্ড উদ্ধারের পর পুলিশ তাঁকে ছবিটি দেখালে তিনি নিজের মেয়েকে শনাক্ত করেন। এর পরেই জামাই তাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন এবং পুলিশ দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
সমগ্র ঘটনার তদন্তের জন্য ডেপুটি কমিশনার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের নেতৃত্বে দুটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করা হয়েছে। পুলিশ এখন খুনের আসল উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা এবং দেহাংশ উদ্ধারের দিকে জোর দিচ্ছে।
