রাজ্য – শহরজুড়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে দুর্গোৎসবের আমেজ। আকাশে বাতাসে ভেসে আসছে দেবীর আগমনের বার্তা। রবিবার মহালয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হলো পিতৃপক্ষ, শুরু হলো দেবীপক্ষ। এই উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে জানিয়েছেন শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শরতের নীল আকাশের ছবি এবং নিজস্ব লেখা গানের একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি লিখেছেন—“জাগো দুর্গা, জাগো দশপ্রহরণধারিণী।” তর্পণ, আগমন ও আবাহনের প্রেক্ষিতে তিনি সকলকে মহালয়ার শুভেচ্ছা জানান। একই সঙ্গে তিনি নিজের লেখা ও সুর করা একটি নতুন পুজোর গানও ভাগ করে নেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে।
এর আগের দিন অর্থাৎ শনিবার, বৃষ্টি উপেক্ষা করেই মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার একাধিক পুজোমণ্ডপের উদ্বোধনে যোগ দেন। উত্তর কলকাতার টালা প্রত্যয়, হাতিবাগান সর্বজনীন থেকে লেকটাউনের শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব—প্রতিটি পুজো উদ্বোধনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। প্রতিবছরের মতো এবারও মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেছেন, যাতে পুজোর ভিড় রাস্তায় সমস্যার সৃষ্টি না করে এবং মানুষের ভোগান্তি এড়ানো যায়।
অন্যদিকে রবিবার সকাল থেকেই মহালয়ার তর্পণে ভিড় জমতে শুরু করেছে কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন ঘাটে। বাবুঘাট, বাগবাজারের পাশাপাশি শিবপুর ও রামকৃষ্ণপুর ঘাটে চলেছে পিতৃপক্ষের অবসান উপলক্ষে পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে জলদান। বৃষ্টির ভ্রুকুটি থাকলেও ভোর থেকেই বহু মানুষ অন্ন-তিল-জল নিবেদন করে তর্পণে সামিল হয়েছেন।
মহালয়ার অমাবস্যায় পিতৃপুরুষকে জলদান বা তর্পণই বাঙালির শাশ্বত আচার। দেবীপক্ষের সূচনালগ্নে তাই একদিকে তর্পণের আয়োজন, অন্যদিকে দেবী দুর্গার আগমনের অপেক্ষায় শুরু হয়েছে বাঙালির মহাউৎসবের প্রহরগোনা।
