কলকাতা – আজ মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসানের মধ্য দিয়ে সূচনা হলো দেবীপক্ষের। ভোর থেকেই গঙ্গার ঘাটে ঘাটে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণে সামিল হয়েছেন আমবাঙালি। বাবুঘাট, বাগবাজার, শোভাবাজার, নিমতলা সহ কলকাতার একাধিক ঘাটে মহালয়ার পুণ্য লগ্নে শুরু হয়েছে তর্পণের আয়োজন। শুধু মহানগর নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকেও মিলেছে একই দৃশ্য। হাওড়ার চাঁদমারি ঘাটে সকাল থেকেই ছিল উপচে পড়া ভিড়, পূর্বপুরুষকে অন্ন-তিল-জল নিবেদন করতে ভোরবেলায় ভিড় জমিয়েছেন হাজারো মানুষ।
তর্পণকে ঘিরে সতর্ক ছিল পুলিশ প্রশাসন। দুর্ঘটনা এড়াতে প্রতিটি ঘাটে মোতায়েন করা হয়েছিল অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। পাশাপাশি, গঙ্গার বুকে টহল দেয় রিভার ট্রাফিক পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল। কলকাতার বাইরে দিঘা, বীরভূমের তিলপাড়া জলাধার এবং বাঁকুড়ার সতীঘাটেও দেখা গেছে একই ছবি—অগণিত মানুষের তর্পণ অর্পণ।
এদিকে, মহালয়ার একদিন আগেই শুরু হয়েছে উৎসবের আবহ। শুক্রবারই বড় বড় পুজো মণ্ডপগুলির উদ্বোধন করে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীভূমি, টালা প্রত্যয় ও হাতিবাগান সর্বজনীনের মতো জনপ্রিয় পুজোগুলির উদ্বোধনে তিনি উপস্থিত ছিলেন। সূচনা হয় হাতিবাগান সর্বজনীনের মণ্ডপ উদ্বোধনের মাধ্যমে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তবে মহালয়ার আগেই উদ্বোধন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, তিনি কেবল প্যান্ডেল উদ্বোধন করেন, মাতৃমূর্তির উদ্বোধন কখনও তর্পণের আগে করেন না।
মহালয়ার সকাল তাই একদিকে পিতৃপুরুষের স্মরণ, অন্যদিকে আগাম উৎসবের আবহে মাতোয়ারা বাঙালির প্রাণপ্রবাহ।




















