রাজ্য – একসময় দুর্গাপুজো সীমাবদ্ধ ছিল মাত্র চার দিনে। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্তই ছিল উৎসবের আবহ। কিন্তু এখন মহালয়ার আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোর আনন্দ। ‘জাগো বাংলা’র মঞ্চ থেকে শৈশবের স্মৃতিরোমন্থন করতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এভাবেই তুলে ধরলেন সময়ের পরিবর্তন। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দুর্গোৎসবের প্রসার ঘটেছে বলেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
অভিষেক বলেন, মহালয়ার অনেক আগেই মণ্ডপসজ্জা ও আলোকসজ্জার কাজ শেষ হয়ে যায়। মহালয়ার দিন থেকেই মণ্ডপগুলো দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তিনি মহালয়াকে শুভশক্তির আগমন এবং অশুভশক্তির বিনাশের প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেন। প্রার্থনা জানান— সবাই যেন সুস্থ থাকে, সব গ্লানি মুছে সত্যের জয় হোক। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও প্রতিটি পুজো কমিটিকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এই মঞ্চ থেকেই তিনি বাংলার মর্যাদার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। বলেন, ৪-৫ বছর আগে বাংলাকে অপমান করে দাবি করা হয়েছিল এখানে দুর্গাপুজো হয় না। অথচ মাত্র তিন বছর আগে দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেয়েছে, যা সমগ্র বাঙালির গর্ব। বাংলাকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে যারা মাটিকে কলুষিত করতে চেয়েছিল, তাদের তিনি কড়া সমালোচনা করেন।
অভিষেকের ভাষণে উঠে আসে ঐক্যের বার্তা। তিনি বাংলার ও বাঙালির জয়ধ্বনি তোলেন এবং বলেন— বিভাজনের রাজনীতি নয়, উৎসবের আনন্দে ঐক্যই হোক প্রধান শক্তি। সকালে সোশ্যাল মিডিয়াতেও মহালয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
