দিল্লি – দুর্গাপুজোর উৎসবে মেতেছে গোটা দেশ। বাংলার বাইরেও একাধিক প্রান্তে পুজো মণ্ডপ সাজিয়েছে বাঙালি সমাজ। সেই আবহেই মহাষ্টমীর রাতে দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কে হাজির হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি শুধু পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখেননি, স্বয়ং আরতিও করেন।
পরিদর্শন শেষে এক্স-এ বাংলায় ও ইংরেজিতে বার্তা দিয়ে মোদী লেখেন, “আজ মহা অষ্টমীর পুণ্যদিনে, আমি দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের দুর্গাপুজোয় অংশ নিতে গিয়েছিলাম। চিত্তরঞ্জন পার্ক, বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমাদের সমাজের ঐক্য ও সাংস্কৃতিক প্রাণময়তার প্রকৃত রূপ ফুটে ওঠে এই অনুষ্ঠানগুলিতে। সকলের সুখ ও কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করেছি আমি।”
উল্লেখযোগ্য, বছর চারেক আগে কলকাতার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর ‘বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’-এর স্বীকৃতি পায়। সম্প্রতি ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগেই এই আন্তর্জাতিক সম্মান অর্জিত হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, ভারতের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেলে আন্তর্জাতিক মহলে তা আরও প্রসারিত হবে এবং মানুষও অংশগ্রহণে আগ্রহী হবে।
তবে এই দাবি তৎক্ষণাত খারিজ করে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে দুর্গাপুজোকে ঘিরে মোদীর টুইট ছড়িয়ে পড়তেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে শুরু হয়েছে কটাক্ষ। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ মন্তব্য করেন, “এতই যদি বাঙালি প্রেম থাকে তবে ভিন রাজ্যে বাংলায় কথা বলার কারণে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার হয় কেন? আসলে বছর ঘুরলেই ভোট, তাই এই বাঙালি প্রেম।”
