দক্ষিন 24 পরগণা – গভীর রাতে মহেশতলা পৌরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের সারেঙ্গাবাদ চন্ডীতলা এলাকায় ঘটল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। রবিবার রাতে নিজের বাড়ি থেকে ৭০ বছরের বিজলী ঘোষের পোড়া দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মৃতার ছেলে সঞ্জয় ঘোষকে (৫০) আটক করেছে মহেশতলা থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, মাকে খুন করেই দেহ লোপাটের চেষ্টা করছিল ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মানসিক ভারসাম্যহীন সঞ্জয় ঘোষের সঙ্গে মায়ের দীর্ঘদিন ধরেই বনিবনা হচ্ছিল না। কয়েকদিন আগেই মাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। গত তিন-চারদিন ধরে বিজলী ঘোষকে দেখা যাচ্ছিল না বলে জানান প্রতিবেশীরা। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে পচা গন্ধ বেরোতে শুরু করে। সন্ধ্যায় আচমকাই ধোঁয়া দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা দমকল ও পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন ও মহেশতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পুলিশ ও দমকলকর্মীরা দেখেন, আগুনে জ্বলছে বিজলী ঘোষের দেহ। দ্রুত আগুন নেভানো হয় এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকেই ছেলে সঞ্জয় ঘোষকে আটক করা হয়।
পুলিশ ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে এবং দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মহেশতলা থানার পুলিশ। স্থানীয়দের প্রশ্ন, এর আগে কি মাকে খুন করে পরে দেহ পুড়িয়ে প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করছিল সঞ্জয়? এই রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ তৎপর হয়েছে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
