মাওবাদীদের নাম করে টাকা চেয়ে চিঠি এলো এক পরিবারের কাছে । ঘটনা ভাতাড় থানার আমবোনা এলাকায়। জানা যায়, পাঁচ লক্ষ টাকা চেয়ে ওই চিঠি আসে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আমবোনা গ্রামের কৃষ্ণা হাজরা নামে ওই বিধবা মহিলার স্বামী দেবীপ্রসাদ হাজরা সরকারি কর্মচারী ছিলেন। তিনি বেশ কয়েকবছর আগে পথ দুর্ঘটনায় মারা যান। কৃষ্ণাদেবীর দুই ছেলে।
জানা যায় শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ছোট ছেলে অয়ন হাজরা যখন বাড়ির সদর দরজা বন্ধ করতে যান তখন তিনি দেখতে পান একটি সাদা খাম পড়ে রয়েছে। খাম খুলে দেখেন একটি চিঠি। চিঠির ওপর লেখা ‘জয় বজরং বালী’। তারপর লেখা রয়েছে, “আমরা মাওবাদী পক্ষ থেকে চিঠি লিখলাম। আপনি তো অয়নের মা। আপনাকে বলছি আপনার তো বহু টাকা আছে।
আপনি আমাদেরকে ৫ লাখ দেবেন। টাকাটা পূর্ব বর্ধমান জেলার আমবোনার বেলতলায় দেবেন। আমাদের লোকরা ফলো রাখবে, টাকাটা নিয়ে চলে আসবে। আপনার স্বামী ৪০ – ৫০ লাখ টাকা দিয়ে গিয়েছে। আমাদেরকে ৫ লাখ টাকা দিলে আপনার কিছুই এসে যাবে না। তা না দিলে আপনার ছেলের ক্ষতি হয়ে যাবে। কথাটা মনে রাখবেন। টাকাটা যেন অবশ্যই দেবেন। ইতি মাওবাদী পক্ষ।“
আর ও পড়ুন লতার স্মৃতি রোমন্থন করছেন বর্ধমান শহরের বাসিন্দারা
এই চিঠি পাওয়ার পরেই পরিবারের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারা ভাতার থানায় বিষয়টি ফোন করে জানান। পুলিশ রাতেই আমবোনা গ্রামে যায়। ওই বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়। পুলিশ পরিবারটিকে আশ্বস্ত করে।
যদিও নীল কালিতে হাতে লেখা একপাতার এই চিঠি আদৌ মাওবাদীদের কিনা তা নিয়ে সন্দিহান পরিবারের লোকজন থেকে স্থানীয়দের অনেকেই। ওই পরিবারের পক্ষে অয়ন হাজরা সাংবাদিককে বলেন, “আমাদের পারিবারিক কোন ঝামেলা বা অশান্তি নেই। প্রতিবেশী কারও সঙ্গে বিবাদ নেই। চিন্তায় রয়েছি।” পুলিশ ঘটনা খতিয়ে দেখছে।
উল্লেখ্য, মাওবাদীদের নাম করে টাকা চেয়ে চিঠি এলো এক পরিবারের কাছে । ঘটনা ভাতাড় থানার আমবোনা এলাকায়। জানা যায়, পাঁচ লক্ষ টাকা চেয়ে ওই চিঠি আসে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আমবোনা গ্রামের কৃষ্ণা হাজরা নামে ওই বিধবা মহিলার স্বামী দেবীপ্রসাদ হাজরা সরকারি কর্মচারী ছিলেন। তিনি বেশ কয়েকবছর আগে পথ দুর্ঘটনায় মারা যান। কৃষ্ণাদেবীর দুই ছেলে। জানা যায় শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ছোট ছেলে অয়ন হাজরা যখন বাড়ির সদর দরজা বন্ধ করতে যান তখন তিনি দেখতে পান একটি সাদা খাম পড়ে রয়েছে। খাম খুলে দেখেন একটি চিঠি। চিঠির ওপর লেখা ‘জয় বজরং বালী’।
তারপর লেখা রয়েছে, “আমরা মাওবাদী পক্ষ থেকে চিঠি লিখলাম। আপনি তো অয়নের মা। আপনাকে বলছি আপনার তো বহু টাকা আছে। আপনি আমাদেরকে ৫ লাখ দেবেন। টাকাটা আমবোনার বেলতলায় দেবেন। আমাদের লোকরা ফলো রাখবে, টাকাটা নিয়ে চলে আসবে। আপনার স্বামী ৪০ – ৫০ লাখ টাকা দিয়ে গিয়েছে। আমাদেরকে ৫ লাখ টাকা দিলে আপনার কিছুই এসে যাবে না। তা না দিলে আপনার ছেলের ক্ষতি হয়ে যাবে। কথাটা মনে রাখবেন। টাকাটা যেন অবশ্যই দেবেন। ইতি মাওবাদী পক্ষ।